যাদবপুরে তারে জামা-কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মহিলার
বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাপের বাড়িতে ভেজা কাপড় তারে মেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। নাম অনিতা রায় (৩৪)। বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানার ৯৪ নম্বর প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানা। আপাতদৃষ্টিতে কোনও অসঙ্গতি মেলেনি বলেই পুলিসের দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ন’টা। আর পাঁচটা দিনের মতো বাপের বাড়িতে নিজের রুমের সামনে থাকা তারে ভেজা জামা-কাপড় মেলতে গিয়েছিলেন অনিতা। তখনই তার থেকে কোনওভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তড়িঘড়ি অনিতাদেবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান এক প্রতিবেশী রবীন্দ্রনাথ দাস এবং তাঁর ভাই তারক রায়। সেখানেই সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ মৃত বলে ঘোষণা করা হয় অনিতাদেবীকে।
কীভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন অনিতা? প্রাথমিক তদন্তে যাদবপুর থানার পুলিস জানতে পেরেছে, অনিতাদেবীর ঘরের সামনে জামা-কাপড় মেলার জন্য একটি তামার তার টানা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রাস্তার লাইট পোস্ট থেকে হুকিং করে একটি মন্দিরে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই একটি তার ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। তাতে জামা-কাপড় মেলা হতো। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওই তামার তারে বিদ্যুৎ প্রবাহ হচ্ছিল। তামার তারের একাংশে কোনও প্লাস্টিকের কভার বা আবরণ ছিল না। সেখানেই অনিতাদেবীর ভেজা হাত লাগায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ বছর ধরে ভাইয়ের বাড়িতে থাকছিলেন অনিতাদেবী। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁর মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল। অনিতাদেবীর এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ছেলে ও মেয়েকে খবর পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতার
পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিধায়ক দেবাশিস কুমার ও কাউন্সিলার মৌসুমি দাস।