নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বনগাঁ শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে পদ্মা বিল, লক্ষ্মী খাল ও নক্কর খাল। তবে এই খালের জল বহনের ক্ষমতা আর নেই। গোটা খাল ঢাকা পড়েছে কচুরিপানায়। যে কারণে প্রতি বছর বর্ষায় নিয়ম করে প্লাবিত হয় বনগাঁ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল নাগরিকদের। এবার সেই যন্ত্রণা মেটাতে উদ্যোগী হল বনগাঁ পুরসভা। দু’টি খাল ও একটি বিল সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। বুধবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও স্থানীয় কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন পুর চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। ইঞ্জিনিয়াররা খালপাড়ে দাঁড়িয়ে ফিতে দিয়ে মাপজোকও করেছেন এদিন। পুরসভার দাবি, দ্রুত এই কাজ শুরু হবে।
বনগাঁ পুরসভার ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে লক্ষ্মী ও নক্কর খাল এবং পদ্মা বিল। পাশাপাশি এই শহরের পূর্বপ্রান্তে রয়েছে ইছামতী নদী। টানা বৃষ্টির জেরে ইছামতী ও খাল-বিল উপচে পুরসভার ১০টি ওয়ার্ড প্রতিবার জলমগ্ন হয়। পাড়ায় পাড়ায় কোমর পর্যন্ত জল জমে যায়। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। প্লাবিত মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা, তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা সবই করতে হয় পুরসভাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পলি জমে এইসব খাল-বিলের জল ধারণের ক্ষমতা কমে গিয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে কচুরিপানা। যা নিকাশির বাকি রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বর্ষায় বানভাসি চেহারা নেয় বনগাঁ। তাই পুরসভা বর্ষার আগেই এই দু’টি খাল সংস্কারের তোড়জোড় শুরু করেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, লক্ষ্মী খাল এবং পদ্মা বিল দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় গত বর্ষায় বানভাসি হয়েছিল ১০টি ওয়ার্ড। এ নিয়ে আমরা নগরোন্নয়ন দপ্তরকে জানালে তারা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ছয় কিলোমিটার খাল সংস্কার করা হবে। আনুমানিক ব্যয় হবে কোটি টাকা। এদিন ওই কাজের জন্যই পরিদর্শন ও সমীক্ষার কাজ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট আমরা দপ্তরে পাঠাব। তারপর দ্রুত কাজ শুরু হবে। ফলে শহর আর প্লাবিত হবে না। -নিজস্ব চিত্র