২৮ দিন পর বাড়ি ফিরলেন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত ভারতীয় কৃষক উকিল বর্মন, খুশির হাওয়া পরিবারে ...
আজকাল | ১৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে বাড়ি ফিরলেন শীতলকুচির কৃষক উকিল বর্মন। গত ১৬ এপ্রিল বুধবার কাঁটাতারের ওপারে নিজের জমিতে চাষ করার সময় তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশিরা। তারপর দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বিজিবি উকিল বর্মনকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজতে রাখে। নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দফায় দফায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি–র সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। তারপর দীর্ঘ ২৮ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উকিল বর্মনকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। রাতেই বিএসএফ জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয় উকিল বর্মনকে। এরপরেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছেন। ভারতে ফিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উকিল বর্মন জানান, ‘খুব ভাল আছি। যখন বাংলাদেশের জেলে ছিলাম তখন খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সেখানে বসে পরিবারকে নিয়ে চিন্তা করতাম। পরিবারের লোকজন যদি জমিতে যায় তাদের প্রতি যদি অন্যায় হয়। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ ও পুলিশ প্রশাসন যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলেন। তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল ভারত–বাংলাদেশের শীতলকুচি সীমান্তে বাংলাদেশি এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। কোচবিহারে এমজিএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই কাঁটাতারের ওপারে চাষের কাজ করতে যান কোচবিহারের কৃষক উকিল বর্মন এবং তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী উকিলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানতে পারে বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি–র সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় বিএসএফের। তবে তা সত্ত্বেও উকিল বর্মনকে বাংলায় ফেরানো সম্ভব হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। সময় যত গড়াতে থাকে ততই যেন উকিল বর্মনকে ফেরানোর দাবি জোরালো হতে থাকে। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনতে থাকেন প্রায় সকলে। হাজারও টানাপোড়েনের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই শীতলকুচিতে ছুটে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি গিয়ে উকিল বর্মনের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন। পরিবারের খুশির অংশীদার হয়ে উকিল বর্মনকে মিষ্টিমুখ করান। তিনি বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে বিএসএফের তৎপরতায় বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ সরকার উকিল বর্মনকে ছেড়ে দিল।’ তিনি আরও বলেন, এতদিন পর্যন্ত উকিল বর্মনের পরিবারে যে দুশ্চিন্তা ছিল, তিনি ফিরে আসায় তা দূর হয়ে গেছে।