• অবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির ৩০৪ কোটি বরাদ্দ
    এই সময় | ১৫ মে ২০২৫
  • এই সময়, বারাসত: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে জেলার ৫০ হাজার উপভোক্তার বাড়ি লিন্টন পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরে রিপোর্ট যাওয়ার পরেই ওই উপভোক্তাদের জন্য ৩০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। সেই মতো দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পৌঁছে গিয়েছে ব্লকে। দ্রুত সেই টাকা বণ্টন করা হবে বলেই জানা গিয়েছে জেলা পরিষদ সূত্রে।

    গত বছর কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রী সরকার আবাস যোদনায় রাজ্যের বরাদ্দ আটকে দেয়। তার ফলে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি বন্ধ হয়ে যায়।

    শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামীণ মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮২ হাজার উপভোক্তা প্রথম কিস্তির ৬০ টাকা পেয়ে গিয়েছেন আগেই।

    কিন্তু সরকারি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) অনুযায়ী লিন্টন ঢালাই পর্যন্ত কাজ হলে তবেই মিলবে দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তী ৬০ হাজার টাকা। সেই মতো পঞ্চায়েত ধরে ধরে সার্ভে করা হয়।

    সেই সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, জেলায় মোট ৫০ হাজার ৬৮১ জন উপভোক্তার বাড়ি তৈরি হয়েছে লিন্টন পর্যন্ত। বাকি ৩০ হাজার উপভোক্তার কাজের গতি খুবই কম। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরে রিপোর্ট জমা পড়ে।

    সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ওই সংখ্যক উপভোক্তার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০৪ কোটি ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে জেলায়। সেই টাকাও জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্লকেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে হাসনাবাদ ব্লক। এখানে মোট ৫৩৬০ জন উপভোক্তার বাড়ি লিন্টন ঢালাই পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে বাগদা ব্লক। এই ব্লকে উপভোক্তার সংখ্যা ৪৮৯০ জন। তবে, রাজারহাট, ব্যারাকপুরের দু’টি ব্লক ও আমডাঙা ব্লকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার উপভোক্তার সংখ্যা অনেকটাই কম।

    এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘টাকা প্রতিটি ব্লকেই চলে গিয়েছে। নির্দেশ এলেই চলতি সপ্তাহে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে, যাঁরা এখন টাকা পাচ্ছেন না, তাদের বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে বলা হচ্ছে দ্রুত লিন্টন পর্যন্ত কাজ করতে। তাঁরাও টাকা পেয়ে যাবেন।’

    বারাসত–১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ জেলার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে এসেছে। টাকাও ব্লকে এসে গিয়েছে। সময়মতো সকলেই টাকা পাবেন।’

  • Link to this news (এই সময়)