• ‘চিন্তা করো না...খুব তাড়াতাড়ি রিষড়ায় আসব’, স্ত্রীকে ফোনে আর কী বললেন পূর্ণম?
    এই সময় | ১৫ মে ২০২৫
  • টানা ২২ দিন ধরে ছেলের চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি ভারতীয় বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউয়ের পরিবার। ভারত-পাক সংঘর্ষ আবহে কবে পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পাবে পূর্ণম? ফের কি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারবেন তাঁদের ছেলে? এ সব নিয়ে যখন চিন্তায় মগ্ন পূর্ণমের পরিবার, ঠিক তখনই বুধবার সকালে আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকল বিএসএফ জওয়ান। ঘরের ছেলের দেশে ফেরার খবর পেয়েই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে তাঁর পরিবার। দেশে ফেরার পরে স্ত্রী রজনী সাউয়ের সঙ্গে কী কথা বললেন পূর্ণম?

    বুধবার পূর্ণমের মুক্তির খবর চাউর হতেই রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, পাড়া প্রতিবেশী সবাই এসে হাজির হন তাঁর বাড়িতে। পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ফোন করেও শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী রজনী জানান, পূর্ণম পাঠানকোটে পৌঁছনোর পরই ভিডিয়ো কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। এর পর রাতেও ফোন করে পূর্ণমের সঙ্গে কথা বলেন তাঁর স্ত্রী।

    কী বললেন পূর্ণমের স্ত্রী?

    রজনী বলেন, ‘ও সুস্থ আছে। সবাই আমাদের সমর্থন করেছেন। এই যুদ্ধ আমার একার ছিল না। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে আমার স্বামী পাকিস্তানে বন্দি। সবাই মিলে প্রার্থনা করেছি যাতে, আমার স্বামী সুস্থভাবে ফিরে আসে। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ আমার সঙ্গে পূর্ণমের কথা হয়েছে। ও বলেছে সব ঠিক আছে। খুব তাড়াতাড়ি রিষড়া ফিরবে।’

    বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী আরও বলেন, ‘ওর কাছে ফোন নেই। এক সহকর্মীর ফোন থেকে আমায় ফোন করেছিল। এখনই বিষড়ার বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে মনে হয় না। আমার এটা ভেবেই শান্তি লাগছে যে পূর্ণম ভারতে রয়েছে এবং তাঁর কর্মস্থলে রয়েছে। বাড়িতে ফিরতে দেরি হলে অসুবিধা নেই। তবে বাড়িতে ফিরলেই ওর জন্য খুব বড় করে ওয়েলকাম পার্টি হবে।’

    রজনী জানিয়েছেন, বিএসএফের হেডকোয়ার্টারে তাঁর কথা হয়েছে। যেহেতু তাঁর স্বামী এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না, তাই রজনী নিজেই আগামী সপ্তাহে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পাঠানকোটে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)