কথা রেখেছেন ‘দিদি’, কাজ করতে দিতেন না শুভেন্দু, বিজেপি ছেড়ে বিস্ফোরক বার্লা
প্রতিদিন | ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে একাধিক কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া দিশা পেয়েছেন চা শ্রমিকরা। তবে জনসমর্থনে জিতে মন্ত্রী হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি তিনি। কারণ, উন্নয়নের কাজে প্রতি মুহূর্তে বাধা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দলবদল করেই একসময়ের নিজের সতীর্থের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন জন বার্লা।
জন বার্লা (John Barla) এদিন বলেন, “৭ মাস আগে থেকে কথা চলছিল। দিদি ফোন করেছিলেন। আমি চেয়েছিলাম চা বাগান নিয়ে কাজ করতে। মন্ত্রী হয়েছিলাম। কাজ করতে গিয়ে সবসময় বাধা পেয়েছি। রেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিরোধী দলনেতা বাধা দিতেন। জনতার আশীর্বাদে জিতেছিলাম তবে শুভেন্দু অধিকারীর বাধায় কোনও কাজ করতে পারেনি।” তাঁর আরও দাবি, “জমি চিহ্নিতকরণের কাজও হয়ে গিয়েছিল। শুধু বাকি ছিল মউ স্বাক্ষর। শুভেন্দু সোজা রেলদপ্তরে ফোন করেন। কাজে বাধা দেন। কাজ করতে দিতেন। কেন এই দল করব যে আমাকে বাধা দেয়। আমার দলই আমাকে অপমান করেছে। উন্নয়নের কাজ করতে দিত না।”
সদ্য দলবদল করা জন বার্লা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, “২০০৭ সাল থেকে চা বাগানের পাট্টার জন্য লড়াই করছেন শ্রমিকরা। কিন্তু পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর চা বাগানের জন্য অনেক কিছু করেছেন। জমির পাট্টাও দিয়েছেন।” চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য উন্নয়নের লক্ষ্যে শিবির বদলের ভাবনা বলেই সাফ জানান বার্লা। যদিও জন বার্লার বিস্ফোরক অভিযোগ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন কিছুই নয়। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘরোয়া কোন্দলের জেরে গেরুয়া শিবির বাংলায় ঐক্যবদ্ধভাবে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। সে কারণে একের পর এক ভোটে ভরাডুবি গেরুয়া শিবিরের। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জন বার্লার দলবদলে উত্তরে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন যে কিছুটা মুখ থুবড়ে পড়ল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।