গয়না কিনে অনলাইন পেমেন্টের নামে প্রতারণা! ‘ভুয়ো অ্যাপে’র কারসাজিতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর
প্রতিদিন | ১৫ মে ২০২৫
অর্ণব আইচ: অনলাইনে টাকা পাঠানোর সময় দোকানের কর্মীরা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখেছিলেন, সোনার গয়নার দাম মিটিয়েছেন মহিলা। ধোপদুরস্ত ওই মহিলার হাতে থাকা মোবাইলে সেই ‘ভুয়ো অ্যাপে’র কারসাজিতেই দক্ষিণ কলকাতার একটি সোনার দোকানের কর্মকর্তারা ৫৬ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই সোনার দোকানের পক্ষ থেকে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসের শেষে ভবানীপুরের লি রোডে একটি মলের ভিতর সোনার দোকানে যান এক মহিলা। সুবেশা ওই মহিলা নিজের পরিচয় দেন। দোকানের কর্মীরা তাঁকে অ্যাপায়ন করেন। তিনি দোকান ঘুরে ঘুরে সোনার গয়না সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। শেষে বলেন, একটি সোনার চেন কিনবেন তিনি। অনেকগুলি সোনার চেন তাঁকে দেখানো হয়। তার মধ্যে থেকে একটি চেন তিনি পছন্দও করেন। তার দাম নির্ধারিত হয় ৫৫ হাজার ৮০৭ টাকা। তিনি দোকানের কর্মীদের জানান, অনলাইনে টাকা মেটাতে চান। এতে কর্মীরা রাজি হলে তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন। এর পর অনলাইনে লেনদেনের উদ্যোগও নেন তিনি। কাউন্টারে গিয়ে তাঁর মোবাইল দেখান। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে যে, টাকার লেনদেন হয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে ওই সোনার মূল্য পৌঁছে গিয়েছে দোকানের অ্যাকাউন্টে।
এরপরই ওই মহিলা জানান, তিনি খুবই তাড়ায় রয়েছেন। মহিলার চেহারা ও ভাবভঙ্গি দেখে দোকানের কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। তাঁরা নিজেদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা না করেই মহিলাকে বিশ্বাস করে তাঁকে যেতে বলেন। কিন্তু ওই দোকানের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, প্রায় দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করার পরও তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ওই টাকা। দোকানের ইনভয়েসের কপি বের করে দেখা যায়, সেখানে মহিলা নিজের ঠিকানা দিয়েছিলেন। যদিও রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় রাজা বসন্ত রায় রোডের ওই ঠিকানাটি আসল কি না। তিনি যে মোবাইল নম্বরটি দিয়েছেন, সেটি খোলাই ছিল। সেখানে দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, টাকা অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কোনও কারণে সময় লাগছে। আবার এই বিষয়ে তাঁদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও হয়। যদিও ওই মোবাইল নম্বরটি ঘিরেও তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মহিলাকে শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।