প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলল ঝড়ের দাপট। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ তুমুল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই মেদিনীপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেল এই দৃশ্য। ঝড়ের দাপটে মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে। যার ফলে অনেক জায়গাতেই প্রায় ঘণ্টাখানেক পথ অবরুদ্ধ হয়। উদ্ধারকাজে নামেন পুলিশ ও মেদিনীপুর পুরসভার কর্মীরা। হঠাৎ করে আসা এমন দুর্যোগে বেশ সমস্যায় পড়েন পথ চলতি মানুষ।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আকাশ কালো করে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে হয় তীব্র বজ্রপাত। ভয়াবহ বজ্রপাতে মেদিনীপুর শহরে একের পর এক বাড়িতে বেজে ওঠে শঙ্খধ্বনি। কারণ, প্রাচীন সংস্কার অনুযায়ী, বাড়ির মহিলারা বিশ্বাস করেন শঙ্খধ্বনিতে দুর্যোগের দাপট কমে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের ২নং ওয়ার্ডে প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে দুটি কাঁচা বাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন শিশু-সহ পরিবারের সদস্যদের।
দুর্যোগের পর কোথায় কী হলো?
ঝড়ের দাপটে মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোডে মনীষীদের মূর্তির সামনে একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। এর পাশাপাশি হাসপাতাল রোড-সহ শহরের একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেন গেটের সামনের রাস্তাতেও একই অবস্থা। মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোডে সাময়িক সময়ের জন্য পথ অবরুদ্ধ হয়।
বৃষ্টি থামার পরেই উদ্ধার কাজে নামেন কোতোয়ালী থানার পুলিশ ও মেদিনীপুর পুরসভার কর্মীরা। ঝড়ে বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে থাকার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার পূর্ত দপ্তরের সিআইসি সৌরভ বসু। সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।