• সব্যসাচী দত্তকে ঘিরে ধুন্ধুমার চাকরিহারাদের আন্দোলন, লাগাতার বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি
    এই সময় | ১৫ মে ২০২৫
  • দফায় দফায় উত্তেজনা বিকাশ ভবনের সামনে। মেন গেট ঘিরে রেখেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের বক্তব্য, ‘দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে গিয়েছে এই বিকাশ ভবন। এঁদের দুর্নীতির জন্যেই আজকে আমরা রাস্তায়। আমরা চাই, প্রতি বছর নতুন নিয়োগ হোক, তবে যোগ্যদের বলি দিয়ে নয়।’ 

    বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। গাড়ি আটকে যাওয়ার কারণে বিক্ষোভ স্থলে আসেন সব্যসাচী। তাঁকে দেখেই বিক্ষোভকারীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ, তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালান কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। 

    আন্দোলনকারীরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা সব্যসাচী দত্তের অনুগামী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সব্যসাচী দত্ত নিজেও উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। কিছু আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বিকাশ ভবনের গেটে প্রশাসনের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তৈরি হয় চরম উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দান নামেন পুলিশ কর্মীরাও। সব্যসাচী বলেন, ‘বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রাজ্য বিষয়টি নিয়ে রিভিউ পিটিশন করেছে। আশা করি, আদালত বিষয়টি বিবেচনা করবে।’ 

    ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর ব্যানারে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ দিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় বিকাশ ভবন চত্বরে। সকালেই ভবনের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন তাঁরা। সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। 

    চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, নতুন করে যোগ্যতার পরীক্ষায় আর বসবেন না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুরো প্যানেল বাতিল করা হলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে শিক্ষকদের। বেতনও পাবেন তাঁরা। তবে, আগামী ৩১ মে-এর মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসসিকে। 

    নতুন করে নিয়োগ করা হলেও সেটা স্বচ্ছভাবে হবে কি না তা সংঘশয় রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। চিন্ময় এ দিন বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বুঝতে হবে, নতুন করে পরীক্ষা হলেই যে সেটা স্বচ্ছভাবে হবে তার কি মানে আছে? তার গ্যারান্টি কোথায়? আমরা কে চাই না, নতুন নিয়োগ হোক? একজন বলেছিলেন, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর মতো এসএসসি হবে। অবশ্যই, দুর্গাপুজো-ইদের মতো প্রতি বছর এটা হওয়া উচিত। তবে যোগ্যদের চাকরি খেয়ে সেটা হতে দেব না।’

  • Link to this news (এই সময়)