• ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে মিলছে না পানীয় জল, চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী
    এই সময় | ১৫ মে ২০২৫
  • কল আছে। কিন্তু জল নেই। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এলাকায় বসানো হয়েছিল ‘ওয়াটার এটিএম’। কম টাকায় সেখান থেকে জল নিতেন পথ চলতি মানুষ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই জল পাওয়া যাচ্ছে না ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে। যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য বন্ধ সেখানকার পানীয় জল পরিষেবা। তীব্র গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা এলাকাবাসীর। ঘটনা রাঁকুড়ার রানীবাঁধ বাজারের। এলাকাবাসীর অভিযোগ শোনার পর এ নিয়ে কী বললেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ?

    গত ২৮ মার্চ রানীবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সদস্যের যৌগ উদ্যোগে উদ্বোধন হয়েছিল ‘ওয়াটার এটিএম’। কিন্তু এক মাস কাটতে না কাটতেই দুর্ভোগের মুখে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। রানীবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে এটি বসানো হয়েছিল। তবে ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে জল নিতে হলে সামান্য পরিমাণ অর্থ দিতে হতো সেখানকার বাসিন্দাদের। ওয়াটার এটিএম থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল পেতে পথ চলতি মানুষদের লিটার পিছু ২ টাকা করে দিতে হতো। আর কেউ ঠান্ডা জল নিলে তাঁকে দিতে হতো লিটার পিছু দিতে হতো ৫ টাকা।

    কী অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের?

    টাকার পরিমাণ অল্প হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষ খুব সহজেই সেখান থেকে জল সংগ্রহ করতেন। সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই সমস্যায় পড়েন রানীবাঁধ বাজারের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁরা ওই ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে জল নিতে পারছেন না। কারণ, সেখান থেকে জলই পড়ছে না।

    কী বলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ চিত্ত মাহাতোর দাবি, ‘যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে আপাতত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ করছে। রানীবাঁধ ব্লক প্রশাসন ও বাঁকুড়া জেলার কোথাও পানীয় জলের তেমন কোনও সমস্যা নেই।’

  • Link to this news (এই সময়)