বিকেল হলেই লম্বা লাইন পড়ে তাঁর দোকানে। সেখানে কেউ এসে চাইছেন ‘ঢপের চপ’, তো কেউ আবার ‘বাতেলা ফুলুরি’। হুগলির রিষড়া হরিসভা এলাকার কালীপদ দত্তের দোকানের নাম ‘ঢপের চপ’। তাঁর দোকানে চপের হেব্বি ডিমান্ড। খাঁটি সরষের তেলে ভাজা চপ কড়াই থেকে তুলতে না তুলতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নিমেষের মধ্যে। সেখানকার প্রত্যেকটা চপের ভিন্ন নাম রেখেছেন কালীপদ। চপের এ রকম নাম রাখার পিছনে আসল কারণটা তিনি নিজের মুখেই জানিয়েছেন।
কী কী পাওয়া যায় ‘ঢপের চপ’ দোকানে?
রাস্তার পাশে একটা গুমটিতে দোকান কালীপদের। সন্ধ্যার পর সেখানে বিক্রি হয় ঢপের চপ, বাতেলা ফুলুরি, ডুবন্ত আলুবরা, ঝুলন্ত বেগুনি, সুগার ফ্রি ভেজিটেবল-সহ আরও অনেক ধরণের তেলেভাজা। তাঁর দোকানে চপের চাহিদা এতটাই যে, রাত আটটার পর এলে আর ‘ঢপের চপ’ পাওয়া যায় না।
চপের এ রকম নাম দেওয়ার কারণ?
কালীপদ বলেন, ‘আমি অনেক সময়েই বন্ধুদের এমন কিছু খবর দিতাম, যেটা ওরা বিশ্বাস করত না। আর তখন ওরা আমায় বলত, ঢপের চপ দিস না তো। বাতেলা মারিস না। তখনই মনে হয় একদিন চপের দোকান খুললে তার নাম দেব ঢপের চপ।’ কালীপদর কথায়, ‘এখন খুব গরম পরেছে। তাই অনেকেই পান্তা ভাত খাচ্ছেন। সন্ধ্যায় আমার দোকানেও ফুলুরির সঙ্গে জলঢালা ভাত পাওয়া যায়।’
কালীপদ-র জীবন
চপের দোকান খোলার আগে অনেক বছর ধরেই দর্জির কাজ করেছেন কালীপদ। কিন্তু সেই কারবার ভালো না চলায় ২০১৬ সালে এই চপের দোকান খোলেন কালীপদ। চপের দোকান করে এখনও বাড়ি-গাড়ি করতে পারেননি কালীপদ। কিন্তু তাতে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। তেলেভাজার দোকান চালিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তাঁর দিব্যি সংসার চলে যাচ্ছে। তবে কালীপদের ইচ্ছে, ফুটপাতের দোকান ছেড়ে একটা স্থায়ী দোকান নিয়ে নিজের ব্যবসা আরও বাড়াবেন।