• উকিল বর্মনের বাড়ি যাওয়ার পথে বিজেপি বিধায়কদের ঘিরে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূলের...
    আজকাল | ১৬ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহারে উকিল বর্মণের বাড়ি যাওয়ার পথে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে উকিল বর্মণের সঙ্গে শীতলকুচিতে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে আসেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা পথে বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে শীতলকুচি থানার পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে বিধায়করা উকিল বর্মণের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে উকিল বর্মণ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

    প্রসঙ্গত, জমিতে চাষ করতে গিয়ে কোচবিহারের বাসিন্দা উকিল বর্মণকে অপহরণ করে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বিজিবি উদ্ধার করে এবং ওই দেশের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশে উকিলকে জেলে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে ভারতে ফেরেন উকিল। তাঁকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি এবং বিএসএফ উকিলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ উকিলকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। রাতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের জেলা নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতৃত্ব যখন উকিলের বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন পথে এই ঘটনা ঘটে। 

    তৃণমূলের অভিযোগ, উকিল বর্মণকে বাংলাদেশী দুষ্কৃতিরা অপহরণ করার ২৮দিন কেটে গেলেও কোনো বিজেপি নেতা আসেননি এবং তাঁর পরিবারের খোঁজ খবর নেননি। এলাকার বিজেপি বিধায়ক বরেন্দ্রনাথ বর্মণ উকিল বর্মণের বাড়ি এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দুই থেকে চার দিনের মধ্যে উকিল বর্মণকে বাংলাদেশ থেকে বের করে আনার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁরা করতে পারেনি। এখন যখন উকিল বর্মণ বাড়ি ফিরে এসেছেন তখন বিজেপি ফুটেজ খেতে তাঁর বাড়িতে আসছে। তাই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস ও সাধারণ মানুষ একসঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি আটকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখায়। 

    এবিষয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ জানান, ‘এখানে আসার পর মনে হচ্ছে উকিল বর্মণের আসার ক্রেডিটটা স্থানীয় তৃণমূল বা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব একা নিতে চান। তাই তাঁরা বিরোধী কাউকে উকিল বর্মণের বাড়িতে আসতে দিতে চাইছেন না। যেহেতু বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকারের এবং দেশের সরকার ও বিএসএফ যথার্থ ভূমিকা নিয়েছে, তাই বিএসএফকে ধন্যবাদ জানাই। তবে যেভাবে বিজেপি বিধায়কদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা চড়াও হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
  • Link to this news (আজকাল)