• ক্ষীরগ্রামে মায়ের মূর্তি সারাবছরই ক্ষীরদিঘির জলের তলায়! এই বৈশাখ সংক্রান্তিতে ভোরবেলায় তিনি ধীরে ধীরে...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ মে ২০২৫
  • সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: মঙ্গলকোটে সতীপীঠ যোগদ্যা (Ma Jogadya)পুজো ঘিরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে প্রতিবার। বৈশাখ সংক্রান্তির (Baisakh Samkranti) দিন মা যোগদ্যা জল থেকে ওঠেন, আর সেদিনই মায়ের দর্শন পান অগণিত ভক্ত। 

    বহু প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে এই রীতি। এই বছরও সেই রীতি মেনেই ভোরের আলো ফোটার আগেই মা যোগদ্যা তাঁর জলমন্দির থেকে উঠেছেন। মাকে নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্থানীয় স্কুলের পাশের মায়ের মন্দিরে। শুরু হয়েছে পুজো। অগণিত ভক্ত সমাগমে ভরে উঠেছে ক্ষীরগ্রাম। 

     ক্ষীরগ্রাম

    কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট ব্লকের অন্তর্গত ক্ষীরগ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ। শোনা যায় এখানে মায়ের ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল। মা এখানে যোগাদ্যা নামে পূজিতা হন। ক্ষীরগ্রামে মায়ের প্রস্তরমূর্তি সারা বছর ধরে ক্ষীরদীঘির জলে নিমজ্জিত থাকে। বৈশাখ সংক্রান্তিতে ভোরবেলায় মাকে জল থেকে তোলা হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই শুরু হয় মায়ের পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে ক্ষীরগ্রাম-সহ আশেপাশের ছয়টি গ্রাম উৎসবে মেতে ওঠে।

    বৈশাখ সংক্রান্তির দিন


     


    বৈশাখ সংক্রান্তির দিন মায়ের দর্শন পান সকল ভক্ত। সারা বছর অপেক্ষার পর মায়ের দর্শন পেতে অগণিত ভক্তের আগমন হয়। বৈশাখের প্রখর রোদ, প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য, মাকে পুজো দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন আগত ভক্তেরা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বসে বিরাট মেলা। এই মেলায় একদিকে যেমন ফুল বেলপাতা ,পুজোর সামগ্রী ইত্যাদি পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসাদারেরা, অন্য দিকে তেমনই বসে যায় মনোহারি থেকে শুরু করে মিষ্টির দোকানও, থাকে নাগরদোলা। মাকে পুজো দিতে আসা দর্শনার্থীরা মেলায় ঘুরে আনন্দ উপভোগও করেন। মায়ের পুজো উপলক্ষে ক্ষীরদীঘির পার জুড়ে হয় পুজো, বলি। পুজোয় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর থাকে প্রশাসন। এবারেও মোতায়েন করা হয়েছে অসংখ্য পুলিস। এক কথায়, মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন অগণিত মানুষ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)