• 'শয়তান পুলিস মেরে পা ভেঙে দিয়েছে', ভয়ংকর অভিযোগ বিক্ষুদ্ধ চাকরিহারাদের!
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ মে ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিনভর বিক্ষোভ, ঘেরাও। রাত নামতে পুলিসের অ্যাকশন! বিকাশভবন থেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে বেরা করে দেওয়া হল চাকরিপ্রার্থীদের! আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের মারধরও করেছে পুলিস। আহত বেশ কয়েকজন। পাল্টা ইঁটবৃষ্টি অভিযোগ ওঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে।  

     

    যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা যায়নি। এসএসসির ২০১৬ সালে পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষকরা। সঙ্গে শিক্ষাকর্মীরাও। চাকরি ফেরতের দাবিতে ৯ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না দিচ্ছেন যোগ্য় শিক্ষকরা। আজ, বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেন তাঁরা।

    দুপুরে বিশাল জমায়েত করে বিকাশভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা, তখন তাঁদের বাধা দেয় পুলিস। এরপর দু'পক্ষের মধ্য়ে শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি। শেষে ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকেও পড়েন তাঁরা। দিনভর চলে ঘেরাও। আটকে পড়েন সরকারি কর্মচারীরা। এরপর রাতেই বিকাশভবনে পৌঁছয় পুলিস। আন্দোলনকারীদের সরিয়ে বিকাশভবন থেকে কর্মচারীদের বের করে আনার চেষ্টা হয়। আর তাতেই পরিস্থিতিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

    পুলিসের সঙ্গে চাকরিহারাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়েছে। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিস। কাউকে টেনে হিঁচড়ে, তো কাউকে আবার চ্যাংদোলা করে বিকাশভবন থেকে বের করে আনা হয়। পাল্টা পুলিসকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি করেন বিক্ষোভকারীরা। রাতভর বিকাশভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

    চাকরিহারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'নতুন করে আমরা কোনও পরীক্ষা দেব না, দিতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রী-সহ সব জন প্রতিনিধিকে নতুন করে ভোটে জিতে আসতে হবে। কারণ, আমাদের ভোটে জিতেই তো ওনারা জন প্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে আমাদের নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে, তার আগে ওদেরও নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে'। তাঁদের অভিযোগ, 'রিভিউ পিটিশনের আগে আমাদের ড্রাফ্ট দেখানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। আমাদের অন্ধকারে রেখে চুপি চুপি রাজ্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউন পিটিশন দাখিল করেছিল'। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)