জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আন্দোলন চলছিলই। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল চাকরিহারাদের। ব্যারিকেড ভেঙে এবার সটান বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়লেন তাঁরা। হুঁশিয়ারি দিলেন, 'জনপ্রতিনিধিরা ফের ভোটে জিতে দেখান, তবেই আমরা পরীক্ষা দেব'।
যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা যায়নি। এসএসসির ২০১৬ সালে পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষকরা। সঙ্গে শিক্ষাকর্মীরাও। চাকরি ফেরতের দাবিতে ৯ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না দিচ্ছেন যোগ্য় শিক্ষকরা। আজ, বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেন তাঁরা।
এদিকে বিশাল জমায়েত করে বিকাশভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা, তখন তাঁদের বাধা দেয় পুলিস। এরপর দু'পক্ষের মধ্য়ে শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি। শেষে ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকেও পড়েন তাঁরা। শিক্ষকদের সাফ কথা, 'নতুন করে আমরা কোনও পরীক্ষা দেব না, দিতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রী-সহ সব জন প্রতিনিধিকে নতুন করে ভোটে জিতে আসতে হবে। কারণ, আমাদের ভোটে জিতেই তো ওনারা জন প্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে আমাদের নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে, তার আগে ওদেরও নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে'।
যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, 'অযোগ্যদের বাঁচাতে রাজ্যের এত দরদ কেন? কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? এভাবে যোগ্যদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ফেলে রাজ্য কাদেরকে বাঁচাতে চাইছে'? তাঁদের অভিযোগ, 'রিভিউ পিটিশনের আগে আমাদের ড্রাফ্ট দেখানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। আমাদের অন্ধকারে রেখে চুপি চুপি রাজ্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউন পিটিশন দাখিল করেছিল'।
চাকরিহারাদের আন্দোলনের মাঝেই বিকাশভবনে পৌঁছন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনিও। সব্যসাচীর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন চাকরিহারা চাকরিহারারা। এমনকী, জুতোও দেখানো হয়।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র চাকরিহারাদের অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, 'পশ্চিমবঙ্গ শ্রম দফতরের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্তর্বর্তী প্রকল্পে গ্রুপ সি ও গ্রু ডি কর্মচারীদের পয়লা এপ্রিল থেকে মাসে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হচ্ছে, গ্রুপ সি ২৫ হাজার, গ্রুপ ডি ২০ হাজার করে অনুদান দেওয়া হবে'।