• জাতীয় সড়ক বন্ধের প্রভাব দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে, অতিরিক্ত গাড়িভাড়া গুনতে হচ্ছে পর্যটকদের
    প্রতিদিন | ১৬ মে ২০২৫
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বন্ধ সিকিম-শিলিগুড়ি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। গরুবাথান হয়ে ঘুর পথে যাতায়াত শুরু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে সিকিমের অবস্থাও ভালো নয়। এই আবহে সেখানকার হোটলগুলিতে বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। চাপ বেড়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। পর্যটকদের চাপ বাড়তেই হোমস্টে ও গাড়ি ভাড়া বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

    বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। বর্ষার আগে মেরামতের জন্য ন’ঘণ্টা পুরোপুরি যান চলাচলের বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। একদিন ব্যবধানে ১৯ মে পর্যন্ত ওই নির্দেশ বহাল থাকবে। ভরা পর্যটন মরশুমে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাহাড়মুখী পর্যটকরা। তাঁদের ঘুরপথে বেশি ভাড়া গুনে গ্যাংটকে যেতে হচ্ছে।

    ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলো সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ পর্যটক সিকিমের বুকিং বাতিল করে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভিড় বাড়াচ্ছেন। হঠাৎ পর্যটকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখানেও সমস্যা পড়ছেন অনেকেই। ট্যুর অপারেটররা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ পর্যটক হোমস্টের বুকিং চাইছেন। কিন্তু এই দুই জায়গায় সাড়ে ৩ হাজার বৈধ্য হোমস্টে রয়েছে। জানা গিয়েছে, হোমস্টে গুলিতে জুন মাস পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। কোনও জায়গা নেই।

    এই পরিস্থিতিতে নতুন গজিয়ে ওঠা হোমস্টে বুকিং করে অনেকেই পরিষেবার বিড়ম্বনায় পড়ছেন। কোথাও ভাড়া বেশি। কোথাও আবার এক ছবি দেখিয়ে অন্য জায়গায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “বুধবার থেকে ছয়টি অভিযোগ পেয়েছি। এক ধরনের ছবি দেখিয়ে থাকতে দেওয়া হয়েছে অন্য কোথাও। গাড়ি ভাড়াও বাড়তি নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে।” জানা গিয়েছে, সাড়ে ৩ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া সাড়ে ৪ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকদের দাবি, বৃষ্টিতে অনেক ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হচ্ছে। ওই কারণে কিছুটা বাড়তি ভাড়া বলেই নেওয়া হচ্ছে। রাজ বসু বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের খুব বেশি কিছু করার নেই।” শিলিগুড়ি থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে গ্যাংটকে পৌঁছতে সাধারণত তিনঘণ্টা সময় লাগে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় ঘুরপথে পৌঁছতে সময় লাগছে প্রায় আট থেকে ন’ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে গাড়িভাড়াও অনেক বেশি পড়ছে।

    এদিকে, ভারী বর্ষণের জেরে উত্তর সিকিমে ভূমিধসে একাধিক রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে। যেমন, মঙ্গন থেকে রাকদুং-টিনটেক হয়ে গ্যাংটক রাস্তায় নামোক খোলা ঝাপিয়ে পড়ায় অবরুদ্ধ হয়েছে। মঙ্গন থেকে ফোডং হয়ে গ্যাংটক রাস্তা পরিষ্কার হলেও কিছু সময় বন্ধ রেখে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে চুংথাং থেকে লাচেন হয়ে মুন্সিথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ আছে। সেখানেও ভূমিধস নেমেছে। লাচেন থেকে থাঙ্গু পর্যন্ত হালকা গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। জলকাদায় ওই রাস্তা যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়েছে রয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)