• বাংলাদেশ থেকে মুক্ত কৃষকের বাড়িতে বিজেপি বিধায়করা, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ বিক্ষোভ স্থানীয়দের
    প্রতিদিন | ১৬ মে ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: ২৯ দিন পর বাংলাদেশ থেকে মুক্ত কোচবিহারের কৃষক উকিল বর্মন। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে শংকর ঘোষ, দীপক বর্মন, মালতী রাভা রায়, বরেনচন্দ্র বর্মন-সহ সাত বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, এতদিন বাংলাদেশে আটকে থাকার সময় বিজেপি বিধায়করা মুক্তির কোনও উদ্যোগ নেননি। অথচ ফেরার পরে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এসেছেন। এই ঘটনায় শুরু জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল অনুগামীরা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যদিও শাসক শিবিরের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঘটনার সূত্রপাত গত ১৬ এপ্রিল। ওইদিন ভারত-বাংলাদেশের শীতলকুচি সীমান্তে বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। কোচবিহারে এমজিএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাঁটাতারের ওপারে চাষের কাজ করতে যান কোচবিহারের কৃষক উকিল বর্মন এবং তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী উকিলকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তা জানাজানি হয়। বিষয়টিতে নজর পড়ে বিএসএফের।

    বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় বিএসএফের। তবে তা সত্ত্বেও উকিল বর্মনকে বাংলায় ফেরানো সম্ভব হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। সময় যত গড়াতে থাকে ততই যেন উকিল বর্মনকে ফেরানোর দাবিও জোরাল হতে থাকে। বিএসএফকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনতে থাকেন প্রায় সকলে। হাজারও টানাপোড়েনের পর অবশেষে বুধবার তাঁকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। রাতেই বিএসএফ জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয় উকিল বর্মনকে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছেন। এদিকে, বুধবারই পাকিস্তানে বন্দি ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানেরও মুক্তি ঘটেছে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রত্যেক ভারতবাসী। উদ্বেগ কেটেছে পরিবারের লোকজনেরও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)