গোবিন্দ রায়: অশান্ত মুর্শিদাবাদে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরানো যাবে না বাহিনী। পরবর্তী শুনানি ৩১ জুলাই। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। জেলায় জেলায় পুলিশের সংখ্যা কম। যদি তা পর্যাপ্ত থাকত, তাহলে মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক অশান্তি হতো না, তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। কেন্দ্রের তরফে এদিন রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়, আদালত নির্দেশ দিলে তদন্ত করতে প্রস্তুত এনআইএ। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ”সময় এসেছে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করার। প্রতি জেলায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। মুর্শিদাবাদেও পুলিশের সংখ্যা অনেক কম আছে। যদি পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশকর্মী থাকত, তাহলে হয়তো অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হত।” কল্যাণের পালটা সওয়াল, গোটা দেশেই বাহিনী কম আছে। পর্যাপ্ত বাহিনী থাকলে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ঘটত না। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ”প্রতি জায়গায় নূন্যতম বাহিনী থাকতে হবে তো।” তাতে আইনজীবী জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।” বিচারপতি পালটা প্রশ্ন করেন, ”ক্ষতিপূরণের যে প্রকল্প আছে সেটা মেনে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য? কারণ, আপনারা যেটাকে পর্যাপ্ত বলে মনে করছেন সেটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে পর্যাপ্ত বলে নাও মনে হতে পারে।”
এদিকে, এদিন কেন্দ্র একটি রিপোর্ট পেশ করেছে হাই কোর্টে। তাতে উল্লেখ, রাজ্যের কমপক্ষে ১৫ টি জায়গায় অশান্তি হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তির উপর আক্রমণ করা হতে পারে, এই ধরনের আশঙ্কার কথা গত ১৮ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে জানানো হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত NIA. যদিও বিচারপতি সেন মন্তব্য করেন, ”এখনও পর্যন্ত আদালতের সামনে যা রিপোর্ট এসেছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে যে প্রশাসন ভালো কাজ করেছে।” ৩১ জুলাই পরবর্তী শুনানি।