• গৃহস্থের বাড়িতে শাড়ি-গয়না চুরি, ফেসবুক পোস্ট ধরিয়ে দিল চোরকে
    এই সময় | ১৬ মে ২০২৫
  • শাড়ি এবং গয়না পরার শখ হয়েছিল। লোভ সংবরণ করতে না পেরে গৃহকত্রীর বাড়িতেই চুরি করে বসেন এক মহিলা। তবে কথায় বলে, ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’। ধরাও পড়লেন নিজের বোকামির জন্য। যে শাড়ি, গয়না চুরি করেছিলেন, সেটি পরেই ছবি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যাস! হাতেনাতে ধরা পড়লেন সেই পরিচারিকা। 

    মধ্যমগ্রাম এলআইসি টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা আশিস দাশগুপ্তের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই বাড়িতেই কাজ করতেন পূজা সর্দার। আশিসের দাবি, গত বছর থেকে তাঁর বাড়িতে কাজ করছেন পূজা। দাশগুপ্ত দম্পতির দুই কন্যারই বিবাহ হয়ে যাওয়ায় বাড়ির মেয়ের মতোই ব্যবহার করা হতো পূজার সঙ্গে। কিন্তু সেই পূজাই যে এত বড় কাণ্ড ঘটাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা। 

    তাঁদের দাবি, গত বছর বেশ কিছু গয়না-সহ শাড়ি ঘর থেকে চুরি হতে শুরু হয়। এই ঘটনা পূজাকে জানানো হলে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। বরং চুরি যাওয়া সামগ্রী দাম দিয়ে দিতে চায় পূজা। তর্কে না জড়িয়ে কাজে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পূজাকে। চুরির কোনও প্রমাণ না থাকায় থানাতে অভিযোগও করতে পারছিলেন না আশিস দাশগুপ্ত।

    চলতি বছরে হঠাৎ আশিসের ছোট মেয়ে পূজার ফেসবুক প্রোফাইলে স্টোরিতে দেখেন তাঁর দিদির এবং মায়ের চুরি যাওয়া শাড়ি পূজার পরনে। পূজা সর্দারের এই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় মধ্যমগ্রাম থানায়। তদন্তে পূজা স্বীকার করেন তিনি এই কাজ করেছেন।

    এর পর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ আজ আশিস দাশগুপ্তকে ডেকে তাঁর চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী তুলে দেন। তিনি বলেন, এই শাড়িগুলির মধ্যে একটি শাড়ি আমার বড় মেয়ের বিবাহের বেনারসী। যেটি আমার কাছে যত্ন করে রাখা ছিল। অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই শাড়িতে। আজ এই শাড়ি-সহ আমার স্ত্রীর গয়না ও অন্যান্য শাড়ি হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

  • Link to this news (এই সময়)