‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির কাছে তিস্তার চরে সেনার মহড়া
বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: প্রত্যাঘাত, জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ও যুদ্ধ বিরতি। তা হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও ভারত-পাক যুদ্ধের আবহ অব্যাহত! তাই ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির কাছে তিস্তার চরে যুদ্ধের মহড়া দিল সেনা বাহিনী। কখনও সেনা জওয়ানরা হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে ওড়েন। আবার কখনও ‘শত্রুপক্ষে’র দিকে কামান নিয়ে ছোটেন জওয়ানরা। কখনও জলপথে গাড়িতে, আবার কখনও আকাশ থেকে প্যারাশ্যুটে করে নীচে নামেন জওয়ানরা। তিনদিনের এমন মহড়ায় অংশ নেয় সেনা বাহিনীর আটটি শাখা।
সেনা বাহিনীর অফিসাররা বলেন, ৮, ৯ ও ১০ মে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ওই মহড়া হয়েছে। মূলত যুদ্ধের সময় জল, স্থল ও আকাশ পথে শত্রুপক্ষকে দমন করার কৌশল নিয়েই সেখানে চর্চা করা হয়। যুদ্ধের পাশাপাশি যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কৌশল নিয়েও জওয়ানরা চর্চা করেছেন।
যুদ্ধ বিরতি চললেও দেশের পশ্চিম সীমান্তে এখনও থমথমে। সেই আঁচ উত্তর-পূর্ব ভারতের মাটিতেও পড়েছে। তাই ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির কাছে সেনা বাহিনীর যুদ্ধের মহড়া নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। এনিয়ে ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক করিডর ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম শিলিগুড়ি করিডর। দীর্ঘদিন ধরেই এই করিডরে নজর চীনের। সেভকের কাছে বাগরাকোটে তিস্তা নদীর চরে সেনাবাহিনীর তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে সেনা জওয়ানরা নিয়মিত মহড়া করেন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ মে আর্টিলারি রেজিমেন্ট বা কামান বাহিনী, আর্মাড কর্পস, মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি, প্যারা স্পেশাল ফোর্স, আর্মি এভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার ও সিগন্যাল সহ আটটি শাখা যৌথভাবে মহড়ায় অংশ নেয়। কখনও হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে চক্কর কাটেন জওয়ানরা। আবার কখনও ট্যাঙ্ক নিয়ে উচু-নিচু পথ দিয়ে দিকে ছোটেন তাঁরা। চরের ধুলোয় গোটা এলাকা ঢেকে যায়। ঘাড়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এক জায়গা থেকে আরএক জায়গায় দৌড়ে গিয়ে উঁচু ঢিবির আড়ালে আশ্রয় নেন জওয়ানরা। কোথাও মুহূর্তের মধ্যে লোহার সেতু তৈরি করেন জওয়ানরা। তা দিয়ে যায় একের পর এক ট্যাঙ্ক। এভাবেই ১০ মে পর্যন্ত মহড়া চলে। তাতে রোবট সহ অত্যাধুনিক কিছু অস্ত্রের মহড়াও হয়।