সংবাদদাতা, ইটাহার: তিন দশক ধরে বেহাল দশায় ইটাহার স্কুল পাড়ার অর্ধসমাপ্ত কমিউনিটি হল। সেই হল এখন সমাজবিরোধীদের দখলে। সন্ধ্যা হলেই সেখানে বসে মদ ও নেশার আসর। এদিকে, খোলা মাঠে করতে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কমিউনিটি হল না থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে ইটাহারের সংস্কৃতি মহলে।
অর্ধসমাপ্ত কমিউনিটি হলটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। অর্ধসমাপ্ত হলটি সংস্কার না হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে জীর্ণ হলটি ভেঙে পুনর্নির্মাণের জন্য উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ। কর্মাধ্যক্ষ সুন্দর কিস্কুর কথায়, এনিয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানান, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় সংস্কৃতি চর্চার দিক থেকে ইটাহার ব্লক অনেকটাই এগিয়ে। জেলা থেকে রাজ্য এমনকী জাতীয় স্তরেও ইটাহারের বিভিন্ন বয়সের শিল্পীরা নজর কেড়েছেন। কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ব্লকে রয়েছে প্রায় ১৫ টি বেসরকারি সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। ইটাহার ব্লকে কমিউনিটি হল না থানায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হয় খোলা মাঠে। এতে অনেক টাকা খরচ হয় আয়োজকদের। অনুশীলন করতেও সমস্যায় পড়েন শিল্পীরা। ইটাহারের বাচিক শিল্পী বকুল সাহা চৌধুরি জানান, সংস্কৃতি চর্চার ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিয়ে যেতে ইটাহারে একটি কমিউনিটি হল ভীষণ দরকার। জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালে জেলা পরিষদ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে ইটাহার হাইস্কুলের পাশে কমিউনিটি হলের নির্মাণ শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে সেটি জীর্ণ। ইটাহারের নাটককার অজয় চক্রবর্তী জানান, ভবনটির সংস্কার বা পুর্ননির্মাণে কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। দিনে সেখানে গবাদিপশু থাকে। রাত হলে সেখানে নেশার আসর বসে। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। ইটাহার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নারায়ণ ধর জানান, স্কুল লাগোয়া জীর্ণ কমিউনিটি হলটি এখন নেশা করার আদর্শ জায়গা হয়ে উঠেছে। প্রশাসন এই ভবনটির সংস্কার করলে সমাজের কাজে লাগবে। জীর্ণ কমিউনিটি হল। নিজস্ব চিত্র