• ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তায় দখলমুক্ত অভিযান এসজেডিএ’র
    বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, বাগডোগরা: এবার দখলমুক্ত অভিযান মাটিগাড়ায়। বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংযোগকারী হিমাঞ্চল বিহারগামী রাস্তায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। একই সঙ্গে তারা আর্থমুভার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে ৫০টি দোকান। ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন। ঘটনাস্থলে এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।

    এসএজডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অর্চনা ওয়াংখেড়ে জানান, ওই রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। তাই রাস্তা থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বার বার দখলকারীদের নোটিস পাঠিয়েও লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে এদিন সেখানে দখলমুক্ত অভিযান চালানো হয়েছে। 

    মাটিগাড়ার উপর দিয়ে বিস্তৃত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তাটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এর সংযোগকারী রাস্তাগুলির মধ্যে হিমাঞ্চল বিহারগামী রাস্তাটি অন্যতম। এই রাস্তা দিয়েই বেসরকারি স্কুল, কলেজ, নার্সিংহোম, কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু অফিস, এসজেডিএ’র প্রধান কার্যালয়, অতিথি নিবাস, আবাসন, বাড়ি যেতে হয়। রাস্তাটি দখলমুক্ত করার দাবি ছিল বহুদিনের। এজন্যই এদিন সকালে আর্থমুভার নিয়ে অভিযানে নামে এসজেডিএ। তাদের সঙ্গে ছিল পুলিস। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা রাস্তাটি দখলমুক্ত করে দেয়। 

    এসজেডিএ’র বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দখল করে অফিস খুলে রেখেছিল আইএনটিটিইউসি। এটা মানা যায় না। শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় হওয়ায় সত্ত্বেও সেটিকে রেয়াত করা হয়নি। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা ওই কার্যালয় ভাঙা হয়েছে। আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) নির্জল দে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হবে। 

    শুধু শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় নয়, সেই রাস্তা থেকে ৫০টি দোকানও হটানো হয়েছে। সেই তালিকায় চা, পান, হোটলের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, প্রায় ১৮ বছর আগে অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে দোকানগুলি গজিয়ে উঠেছিল। সংশ্লিষ্ট বাজার গড়ে তোলার সময় স্থানীয় একাংশ তোলাবাজি করে বলেও অভিযোগ। এদিন দখলমুক্ত অভিযান চলার সময় ওই ব্যবসায়ীদের একাংশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ হোটেলের রান্না করা খাবার রাস্তা ফেলে দেন। তাঁরা অভিযানকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয়রা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে এখানে দোকান করে ব্যবসা করছি। এখন কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না। তাই প্রশাসনকে পুনর্বাসন দিতে হবে। তা না হলে সংসার নিয়ে পথে বসতে হবে। 

    শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আইন অনুসারেই ওই অভিযান চালিয়েছে। এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই। তবে, ওই ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করব।  ভাঙা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)