• গঙ্গা ও ফুলহারে হদিশ প্রায় দেড়শো ডলফিনের, চারটি ব্লকে মত্স্যজীবীদের সচেতন করার উদ্যোগ
    বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: প্রথমবার সার্ভেতেই সাফল্য। ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে সমীক্ষায় মালদহের গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে মিলল প্রায় দেড়শোটি ডলফিনের হদিশ। এরপরেই ডলফিন সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে বনদপ্তরের মালদহ ডিভিশন। গঙ্গা তীরবর্তী চারটি ব্লকে আপাতত সচেতনতামূলক প্রচার চালাবে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। 

    জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ডলফিন নিয়ে মালদহ জেলায় প্রথমবার সমীক্ষা করা হয়েছে। গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে প্রায় দেড়শো ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। 

    গঙ্গা কমিটি নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনিক স্তরে একটি বৈঠক  ডাকা হয়। সেখানে গঙ্গা কমিটির অংশ হিসেবে বায়ো ডাইভার্সিটি বা জীব বৈচিত্র্য নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই বনদপ্তরের তরফে গঙ্গা ও ফুলহারে ডলফিনের অস্তিত্ব সন্ধানের বিষয়টি উঠে আসে।

    দপ্তরের মালদহ ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জিজু জেসপার বলেন, মালদহ জেলায় গঙ্গা, ফুলহারে ডলফিনের সন্ধান মিলেছে। দুটো নদী মিলিয়ে সেই সংখ্যা প্রায় একশো কুড়ি থেকে দেড়শো। 

    বছরের শুরুতেই ডলফিন সুমারি করে ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। মার্চ মাসে তারা একটা রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে তারা মালদহ জেলায় ডলফিনের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

    মালদহে ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়ার পর তাদের সুস্থ পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখাই এখন বনদপ্তরের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। দপ্তর জানিয়েছে, ডলফিন নিয়ে সমীক্ষা, সংরক্ষণ ও সচেতনতা নিয়ে সরকারের কিছু প্রকল্প আছে। আপাতত সেগুলির মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চলবে। পাশাপাশি ডলফিন নিয়ে আরও সমীক্ষা হবে। 

    জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সময় মাছ ধরার জন্য মৎস্যজীবীরা নদীতে সূক্ষ্ম জাল ব্যবহার করে থাকেন। জেলাশাসক জানান, বর্ষায় ডিম পাড়ার জন্য ইলিশ মাছ গঙ্গার উপরের দিকে উঠে আসবে। কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকে সেই সময় মৎস্যজীবীদের মধ্যে সুক্ষ্ম জাল ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়। সেই জালে আটকে ডলফিন মারা যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ব্লকে ব্লকে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।

    মালদহ জেলার চারটি ব্লক গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে। সেগুলি হল কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-৩ এবং মানিকচক ও রতুয়া-১ নম্বর ব্লকে। এর মধ্যে রতুয়া ও মানিকচকে গঙ্গার পাশাপাশি রয়েছে ফুলহার নদী। ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া মালদহ জেলার এই চারটি ব্লকেই ডলফিন নিয়ে সমীক্ষা এবং শুমারি করে। কমবেশি প্রত্যেকটি ব্লকেই ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।  প্রতীকী চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)