• পরিবেশ দপ্তরের অফিসের পাশেই জমছে পুরসভার আবর্জনা, বিতর্ক
    বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: কঠিন বর্জ্য প্রকল্পের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। ফলে পরিবেশ দপ্তরের অফিসের পাশেই ইংলিশবাজার পুরসভার জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। স্বভাবতই শহর জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহদিপুরের কাছে ইংলিশবাজার পুরসভার একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড আছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে সেখানে অত্যাধুনিক মেশিন বসানো হবে। যতদিন সেই কাজ না হচ্ছে, শহরের জঞ্জাল নিয়ে কিছু একটা করার সময় এসেছে বলে দাবি একাংশ বাসিন্দার। 

    ইংলিশবাজার পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল শুভময় বসুর কথায়, পরিবেশ দপ্তরের অফিসের পাশে প্রশাসন আমাদের এক বিঘা জমি দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানেই শহর থেকে সংগৃহীত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ওখান থেকে পরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হয়। 

    প্রতিদিন সকালে পুরসভার ২৯ টি ওয়ার্ড থেকে ছোট গাড়িতে করে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। সেই আবর্জনা পরিবেশ দপ্তরের পাশে অর্থাৎ ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় গা ঘেঁষে ফেলা হয়। যদিও পুরসভার দাবি, প্রতিদিন সেখান থেকে ডাম্পার বোঝাই করে সেই আবর্জনা মহদিপুরের কাছে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    জঞ্জাল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যে অন্যতম, পরিবেশ দপ্তরের অফিসের পাশে কীভাবে পুরসভা আবর্জনার স্তূপ করে রাখছে। পুরসভাকে কেন এই অনুমতি দিল প্রশাসন? পরিবেশ দপ্তর বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার, জরিমানা সবই করছে। অথচ তাদের অফিসের পাশেই আবর্জনা ডাঁই করে রাখছে পুরসভা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,  সম্প্রতি একটি প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবেশ দপ্তরের এক আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। যদিও এদিন পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।  

    ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, দু’ধারের জায়গা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনের দেওয়া জমিতে আবর্জনা ফেলা হলেও মাঝেমধ্যে সেসব আবর্জনা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমিতে চলে যাচ্ছে। যা নিয়ে সড়ক কর্তৃপক্ষ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট মহলকে অভিযোগ জানিয়েছে বলে খবর। 

    ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মালদহ ডিভিশনের প্রকল্প আধিকারি অজয় গাদেকার বলেন, জাতীয় সড়কের ধারে ৬০ মিটার অংশ আমাদের। তার পাশে পুরসভা আবর্জনা ফেলছে। কিছু কিছু সময় সেসব আমাদের জায়গার মধ্যে চলে আসে। তখন আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে সরিয়ে নেওয়া হয়।   

    চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল শুভময় আরও বলেন, ওখানে আশেপাশে কেউ বাস করেন না। ফলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)