পাকিস্তানের হাল দেখে শিক্ষা? টাঙনের জল ছাড়ল বাংলাদেশ
বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের হাল দেখে কি ভয় পেয়েছে বাংলাদেশ? খরায় টাঙন দিয়ে জল বইতে দেখে এখন সেই চর্চাই শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বর্ষা পেরিয়ে গেলেই টাঙনের জল আটকে দিত ওপার বাংলা। সেচের অসুবিধা হওয়ায় বারবার নদীপাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করার পর জেলার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বিদেশ মন্ত্রকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, বিরল উপজেলার ধন্যসাহা ঘাটে টাঙন নদীর উপর রাবার ড্যাম তৈরি করে জল আটকে দিচ্ছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন সেচে কষ্টের পর কুশমণ্ডি ও বংশীহারি ব্লকের কৃষকেরা এবার জল পেতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ জল ছাড়ায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত শুকিয়ে থাকা টাঙন তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানের লেজেগোবরে অবস্থা দেখেই সন্ত্রস্ত বাংলাদেশ তড়িঘড়ি টাঙনের জল ছেড়ে দিল বলে আলোচনা চলছে। টাঙন নদী বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার কুশমণ্ডি ও বংশীহারি ব্লকের উপর দিয়ে মালদহ জেলায় প্রবেশ করে ফের বাংলাদেশে গিয়েছে। ফাল্গুন মাস থেকে প্রায় খরা শুরু হয়ে যায়। তখন থেকেই জলের সমস্যা হতো। চাষের জন্য যথেষ্ট জল তুলতে পারতেন না নদীতীরের কৃষকরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আগ্রাসন দেখেই এবার জল ছেড়ে দেওয়া হল বলে মনে করছেন জেলাবাসী।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জেলার প্রধান তিনটি নদী আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙন বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে ঢুকেছে। জলচুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশ রাবার ড্যাম তৈরি করে ইচ্ছেমতো এই নদীগুলির প্রবাহ আটকে দিচ্ছে। বংশীহারির এলাহাবাদের বাসিন্দা নিত্য সরকারের কথায়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মধ্যেই হঠাৎ নদী জলে ভরে যায়। এতদিন বাংলাদেশ আটকে রাখত বলে এই সময় জল থাকত না। জল আসায় আমাদের চাষের কাজে সুবিধা হয়েছে।
নদীকর্মী তুহিন শুভ্র মণ্ডলের মন্তব্য, বাংলাদেশ ধন্যসাহা ঘাটে জল আটকে রাখে বলে আমরা একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছি। আন্তর্জাতিক প্রবাহ আটকানোর অপরাধ করে আসছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের চৈতন্য ফিরেছে। নিজস্ব চিত্র।