• মিনিট কুড়ির বৃষ্টিতে রামপুরহাট শহরে ফিরল জমা জলের যন্ত্রণা, ভাসল হাসপাতাল চত্বর
    বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মিনিট কুড়ির বৃষ্টি, তাতেই ফের রামপুরহাটে ফিরে এল জমা জলের দুর্ভোগ। ভাসল এম এন কে রোড ও ধুলোডাঙা রোড। জল জমল রামপুরহাট মেডিক্যালের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে ও দু’নম্বর প্রবেশ পথের রাস্তাও। নিকাশি নালা ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ায় হাসপাতালের পিপিপি মডেলের ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে জল জমে যায়। শহরের নিকাশি অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন নাগরিকরা। 

    মরশুমে অতিবৃষ্টি বা সামান্য বৃষ্টিতেই রামপুরহাট শহরের একাধিক এলাকার বাসিন্দারা জমা জলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তাই নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভও রয়েছে। এবার বর্ষার আগেই শহরের জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যমে কাঁদর পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে পুরসভা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝেঁপে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মিনিট কুড়ির সেই বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে পড়ে এম এন কে রোড ও ধুলোডাঙা রোডে। সমস্যায় পড়েন এলাকার বাসিন্দা থেকে পথচারীরা। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত অবশ্য বলেন, এম এন কে রোডের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। যদিও জল দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আর কাঁদর সংস্কারের কাজ ধুলোডাঙা রোড পর্যন্ত আসেনি। সেখানকার অংশে কাঁদর ঝোপ জঙ্গলে ঢেকে থাকায় জল ছাপিয়ে নালা দিয়ে এসে রোড দিয়ে বইছে। পুরসভার পক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে জল বের করে দেওয়ার কাজ চলছে। 

    এদিন রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে পড়ে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢোকার দ্বিতীয় গেটের রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল দাঁড়িয়ে যায় সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। এরই মধ্যে যাওয়া আসা করেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানান, বৃষ্টি হলেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এই সমস্যা। বিষয়টি বারবার স্বাস্থ্যদপ্তরে জানানো হয়েছে। 

    শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলির একাংশও জলের তলায় চলে যায়। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে জমা জলে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় নাগরিকদের। তাঁরা বলেন, ফি বছর বর্ষার সময় একই সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। নির্বাচনী ইস্তাহারে ফলাও করে ছাপা হয় নিকাশি সমস্যা দূর করায় প্রথম কাজ। কিন্তু ফলপ্রসূ কিছুই যে হচ্ছে না, তা এই ছবিই জানান দিচ্ছে। 

    যদিও চেয়ারম্যান বলেন, এবার আগে থেকেই কাঁদর পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় তুলনামূলক জলমগ্ন এলাকার সংখ্যা কম। পাশাপাশি তিনি বলেন কিছু অসচেতন মানুষ নর্দমার মধ্যে প্লাস্টিক সহ অন্যান্য আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে। তাতে জল বেরতে সমস্যা হচ্ছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)