মুনিয়াদা গ্রামে জল সঙ্কট তীব্র, দেড় কিমি দূর থেকে আনতে হচ্ছে জল
বর্তমান | ১৬ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: জামবনী ব্লকের ধড়সা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মুনিয়াদা গ্ৰামে জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পিএইচই-র পাইপ লাইন থেকে পর্যাপ্ত জল মিলছে না। গ্ৰামের মহিলারা দেড় কিমি দূর থেকে জল আনছেন। গ্ৰামবাসীদের পাতকুয়োর জল খেতে হচ্ছে। তীব্র গরমে পরিস্রুত পানীয় জল না পেয়ে গ্ৰামবাসীদের ক্ষোভ বাড়ছে।
জামবনী ব্লকের বিডিও দেবব্রত জানা বলেন, গ্ৰামবাসীদের তরফে জল সঙ্কটের বিষয়ে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ওই এলাকায় যাতে পাঠানো হয় তা দেখা হবে। পাইপ লাইনে জল না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হবে। জামবনী ব্লক জেলার শুষ্কতম এলাকা। গরমে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। জলের সঙ্কট মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু তিন-চারমাস ধরে পিএইচইর পাইপ লাইনেও পর্যাপ্ত জল আসছে না। মুনিয়াদা স্কুল পাড়া থেকে আদিবাসী পাড়া ও পূর্ব জামডহরী এলাকায় জল সরবরাহ কয়েকদিন ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পানীয় জলের অভাবে এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। গ্ৰামের মহিলাদের চড়া রোদে দেড় কিমি দূরে থেকে জল আনতে হচ্ছে। অনেকেই পাতকুয়োর জল ব্যবহার করছেন। অস্বাস্থ্যকর সেই জল খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, ব্লক প্রশাসনের কাছে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এলাকায় ঘুরে গিয়েছেন। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। মুনিয়াদা গ্ৰামের বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ মাহাত এদিন বলেন, গরমকাল এলাকায় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। গ্ৰামে পিএইচই-র জলের লাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু পাইপ লাইনে পর্যাপ্ত জল আসছে না। ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছে। দেড় কিমি দূর থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কুনামী হাঁসদা বলেন, পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।-নিজস্ব চিত্র