নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঘরে ঘরে ধুম জ্বরে জেরবার রাজ্যবাসী। অনেকেরই তাপমাত্রা ১০২/১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পার করে যাচ্ছে। জ্বরে ভুগছে খুদেরাও। তবে একা জ্বরে রক্ষে নেই, অনেকের ক্ষেত্রেই দোসর হচ্ছে বমি, পায়খানা। সঙ্গে থাকছে গা-হাত-পা ব্যথা, মাথা ব্যথা, খিদেয় অরুচি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে থাকছে গলা ব্যথাও। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রধানত দু’টি কারণে জ্বর হচ্ছে। প্রথমত, তুমুল গরমের জন্য ‘হিট ফিভার’ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। সাত থেকে দশদিন ভোগাচ্ছে। জ্বর চলে গেলেও দুর্বলতা, হাত-পা ব্যথা বেশ কিছুদিন থেকে যাচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, গরমের জন্য সমস্যা বাড়ছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া না বেরনোই ভালো। বেরতে হলে বাড়ি থেকে জলের বোতল, টুপি বা ছাতা নিয়ে বেরবেন। শরীর না দিলে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় বিশ্রাম নেবেন। জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা ও বমির সমস্যাও হচ্ছে। ডাঃ ঘোষ বলেন, হিট স্ট্রোকের রোগী কম আসলেও হিট এগজরশন বা গরমের জন্য প্রচণ্ড অস্বস্তি, অবসন্নবোধের বহু রোগী পাচ্ছি। ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রা উঠে গেলে প্যারাসিটামল, পাতলা পায়খানা হলে ওআরএস আর বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রামেই শরীর অনেকটাই ঠিক হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অভিষেক পোদ্দার বলেন, বহু বাচ্চা জ্বরে ভুগছে। ছোটদের নিয়ে এই সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া বেরবেন না। তার মধ্যে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় বাচ্চারা অনেকেই আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়, খাচ্ছে। সেজন্য বমি, পায়খানাও হচ্ছে কোনও কোনও বাচ্চার। ডাঃ পোদ্দার বলেন, বয়স এবং ডোজ মেনে ওষুধ খাওয়ালে বাচ্চারা সুস্থ হয়ে উঠবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়ব্রত হাইত বলেন, ধুম জ্বরে বেলেডোনা, জ্বর ও ঠান্ডা লাগায় রাসটাকস, পেট খারাপে পোডোফাইলাস, বমিতে আর্সেনিকের মতো ওষুধ ভালো কাজ দিতে পারে।