নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের তৎকাল রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশের পরে একজন নতুন ছাত্রী ঢুকলেন প্রথম দশের তালিকায়। আলিপুরদুয়ারের শালকুমারহাট হাইস্কুলের ছাত্রী মৌমা বিশ্বাস। তিনি ছিলেন একাদশতম স্থানে। আগের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭ থেকে দু’নম্বর বেড়ে তিনি নবম স্থানে উঠে এসেছেন। ৩২ জন পরীক্ষার্থীর ২১ বা তার বেশি নম্বর বেড়েছে। ৩০-এর বেশি নম্বর বেড়েছে ২০ জনের।
রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৬ হাজার ১০১টি। তার মধ্যে এক হাজার ৬০২টি উত্তরপত্রের নম্বর বেড়েছে। স্ক্রুটিনির আবেদন ছিল পাঁচ হাজার ৪৫৪টি উত্তরপত্রের জন্য। তার মধ্যে নম্বর বেড়েছে এক হাজার ৮৭টি উত্তরপত্রে। অর্থাৎ, দু’টি মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৫৫টি আবেদনের মধ্যে দু’হাজার ৬৮৯টি ক্ষেত্রে নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। আবেদনের সাতদিনের মধ্যেই ফলপ্রকাশ করতে পেরেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এ বছর সংসদ রিভিউয়ের আবেদনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত রাখতে বিশেষ শর্ত আরোপ করেছিল। তাতে সংখ্যা কমেছে ঠিকই। তবে, মেধাতালিকায় পরিবর্তন রোখা যায়নি। তবে, একটিতে সীমাবদ্ধ রাখা গিয়েছে। তবে, এত কড়াকড়ির পরেও যেভাবে নম্বর বেড়েছে, তাতে মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। এক থেকে ১০ নম্বর বেড়েছে দু’হাজার ৫৫৯ জনের। ১১ থেকে ২০ নম্বর বেড়েছে, ৯৮ জনের। স্রেফ তৎকাল স্ক্রুটিনিতেই হাজারের উপরে উত্তরপত্রে নম্বর বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে, পরীক্ষকরা নম্বর দিতে বা যোগে ভুল করেছিলেন। এর পরে বাকি রয়েছে সাধারণ রিভিউ-স্ক্রুটিনির ফল। তাতে কী ছবি উঠে আসে সেটাই দেখার।