আরজি করে ধর্ষণ-খুনের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ আছে, আদালতে দাবি সিবিআইয়ের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৬ মে ২০২৫
আরজি কর মামলায় প্রথম থেকেই গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার সিবিআইয়ের তরফে আদালতে সরাসরি এই অভিযোগ করা হল। আরজি করে ধর্ষণ–খুনের সঙ্গে দুর্নীতি যোগের সম্ভবনা রয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আফসার আলি খান, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহের জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি ছিল।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে সিবিআই দাবি করেন, এই তিনজনের সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার মৃত্যুর যোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছে তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী সিবিআইয়ের তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানিয়েছেন, তিনটি জামিনের আবেদন একযোগে শুনানি হবে।
শুনানি চলাকালীন আফসার আলি খানের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল সহজেই জামিন পেতে পারেন। তিনি আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অফিসের সিকিউরিটি গার্ড। তিনি ইতিমধ্যেই ৬ থেকে ৮ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। সিবিআইয়ের কী সমস্যা রয়েছে তা তাঁর জানা নেই। ১৫০ জন সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন এখনও চার্জ ফ্রেম করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
অপরদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, এই মামলাটি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে সিবিআইয়ের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। এই নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়। তারপর এটা সিবিআইয়ের হাতে আসে। এই মামলার সঙ্গে আরজি করের মূল ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার যোগ আছে। এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের পর ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বিশেষ নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন করে ১২ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এ বার সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি যোগের সম্ভাবনা উল্লেখ করল সিবিআই। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন দুপুর দুটোয়।