জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:
জন বার্লার রাজনীতিতে ফুলবদল নিয়ে সরব বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনীতি হোক বা ব্যক্তিগত জীবন, স্ট্রেট ব্যাটে খেলা , রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম উল্লেখযোগ্য মুখ। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রাক্তন দল বিজেপির সম্পর্কে তীব্র বিষোদগার করেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা।
আজ শুক্রবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন 'জন বার্লা বিজেপির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কেন উনি দল দলত্যাগ করলেন তা খতিয়ে দেখতে হবে দলকে। তাঁর নেতৃত্বে দল লাভও পেয়েছিল, কিন্তু এমন ঘটনা সত্যিই চিন্তার বিষয়। তাঁর ট্রেড ইউনিয়ন আছে, তাঁর পিছনে অনেক লোকও আছে। দল তাঁকে একসময় অনেক মর্যাদা দিয়েছিল কিন্তু তাঁর অন্য দলে চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে বিজেপির অনেক বড় ক্ষতি। এ নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।'
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। 'বিজেপিতে উন্নয়নের কাজ করতে দেওয়া হত না'- এই অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার দলবদল করলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ, একদা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তৃণমূলে যোগ দিয়েই নাম না করে নিশানাও করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে, ডুয়ার্সের চা বাগানের এই নেতা। ২০১৯ সালে বিজেপি টিকিটে আলিপুরদুয়ার থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন জন বার্লা।
যোগদান অনুষ্ঠানে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বার্লা বলেন, 'বিজেপিতে উন্নয়নের কাজ করতে দেওয়া হত না। ওরকম দলে কেন থাকব।' বলেন, 'আমি চাই না, এমন নেতার সঙ্গে কাজ করতে যে রাজনৈতিক লাভের জন্য, মুখ্যমন্ত্রী হতে চায়। জনতাকে বিভাজন করে, ধর্মীয় বিভাজন করে বলে, আমরা সবাই মিলে কাজ করব- এমন নেতার সঙ্গে দেখাও করতে চাই না। অনেকবার দেখা করতে চেয়েছেন আমার সঙ্গে, আমি দেখা করিনি। আমি আমার কাজ করব। দিদির আর্শীবাদ আছে।'
এদিন বার্লার কথায় বারবার উঠে আসে বিজেপির কথা। বার্লার সাফ কথা, 'অসমে ডবল ইঞ্জিন সরকার তবু চা বাগানের জমি মেলে না। আদিবাসীদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কী করে বিশ্বাস করব, এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার এলে আদিবাসীদের জন্য কাজ করবে।'
জন বার্লার এই বক্তব্যের পর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মামলা করেছেন, জন বার্লার বিরুদ্ধে। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ কিছুতেই আমস দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারীকে। দিলীপদার নেতৃত্বে রাজ্য ১৭টা সাংসদ পেয়েছিল। আমরা ওঁর নেতৃত্বে অনেক কাজ করেছি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কাউকে সম্মান দেয় না। আমাকে আইনি নেটিস পাঠালে আমি তার আইনি জবাব দেব। কিন্তু আমি বারবার বলব যে,দিলীপদা, পুরনো দিনের লোক, আর শুভেন্দু অধিকারী অনেক পরে দলে এসেছেন। দিলীপদা,নিজেও সম্মান পাচ্ছেন না দলে। তবে দল ছাড়বেন কি না তা তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।