বিশ্বজিৎ মিত্র: এভারেস্ট জয় করে নীচে নামার সময়ে মৃত্যু হল নদীয়ার রানাঘাটের (Nadia Ranaghat) এক স্কুলশিক্ষকের। মৃত ওই পর্বতারোহীর নাম সুব্রত ঘোষ। গত ৩১ মার্চ রানাঘাট থেকে এভারেস্টের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। গত পরশুদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ক্যাম্প ফোর থেকে রওনা দিয়ে হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে (Mt Everest) পৌঁছন।
আবহাওয়া খুব খারাপ
নদীয়ার আর এক স্কুলশিক্ষিকা রুম্পা দাসও ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের সুব্রত ঘোষের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, হঠাৎই আবহাওয়া খুব খারাপ হয়ে পড়ে। এজন্য অসুস্থ বোধ করেন তাঁরা। দ্রুত নীচে নামতে থাকেন। এই নীচে নেমে আসার পথেই মৃত্যু হয় সুব্রতবাবুর বলে দাবি যে সংস্থার সঙ্গে তাঁরা গিয়েছিলেন তাদের। সেই সংস্থার তরফেই আজ, শুক্রবার সকালে সুব্রতর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এই খবর এসে পৌঁছতেই বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। পাড়া-প্রতিবেশী এবং সন্নিহিত এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
এভারেস্ট নতুন নয়
প্রসঙ্গত, এভারেস্ট সুব্রতবাবুর কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগে বহু পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছেছেন তিনি। সূত্রের খবর, চার নম্বর বেস পৌঁছতে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। যে শেরপা তাঁকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন তিনি ফিরে এসে জানিয়েছেন সুব্রত ঘোষ মৃত।
চার নম্বর বেস ক্যাম্প পর্যন্ত
সুব্রত ঘোষের বাড়ি রানাঘাটের খিড়কিবাগান লেনে। ছোটবেলা থেকেই পাহাড়ের প্রতি তার ভীষণ টান দেখা গিয়েছিল। পাহাড় তাঁর কাছে যেন নেশার মতো। করোনার সময়ে একবার রওনা দিয়েছিলেন। এর পর বিভিন্ন কারণে আর পারেননি। তারপর আবার এবার গিয়েছিলেন। রুম্পা দাস তাঁরই সহযোগী। রুম্পা দাসও চার নম্বর বেস ক্যাম্প পর্যন্ত ভালোভাবে পৌঁছেছেন বলে সূত্রের খবর। এবং তিনি সুস্থই আছেন।