অর্ণব দাস, বারাসত: গাছে ঝুলছে কাঁচা পাকা আম। কয়েকটি আবার পড়ে রয়েছে রাস্তায়। তা দেখে লোভ হয় না, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। নাবালক সুদীপ্ত পণ্ডিতেরও তাই হয়েছিল। মাটিতে পড়ে থাকা কয়েকটি আম কুড়োতে গিয়েছিল সে। আর সেই ‘অপরাধে’র কঠোর শাস্তি পেলেন নাবালক। মারধরে শেষমেশ প্রাণ দিতে হল তাকে। নৈহাটির শিবদাসপুরের ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।
নিহত সুদীপ্ত পণ্ডিত, কাঁচরাপাড়ার বাসন্তী তলার বাসিন্দা। নৈহাটির শিবদাসপুরে অনুষ্ঠান বাড়িতে এসেছিল সে। শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরছিল সুদীপ্ত। একটি আমবাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সে। সেই সময় রাস্তার পাশে একটি গাছে আম পড়ে থাকতে দেখে। তড়িঘড়ি আম কুড়োতে যায়। তা নজরে আসে ওই বাগানের পাহারায় থাকা শেখ ফারহাদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, সুদীপ্তকে ঘিরে ধরে ওই ব্যক্তি। বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। লুটিয়ে পড়ে সুদীপ্ত। তার সঙ্গে থাকা বন্ধুবান্ধবরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা।
এদিকে, আমবাগানের কাছে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সুদীপ্তকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। নৈহাটিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে সুদীপ্তর। দুঃসংবাদ শুনে বেজায় চটেন স্থানীয়রা। বাগানের পাহারাদার ফারহাদের আমের গুদামে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আমের গুদাম। খবর পেয়ে শিবদাসপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ফারহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তা সত্ত্বেও এলাকা থমথমে। যাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তি না হয় তাই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ নিহত নাবালকের পরিবারের লোকজন। অভিযুক্ত ফারহাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।