সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষ সংগঠকের অভাব। আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ঘরোয়া কোন্দল। দু’য়ে মিলে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। তাই প্রতিটি নির্বাচনে ডাহা ফেল গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে আবার বড় নেতৃত্বের দলবদল। সদ্যই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জন বার্লা (John Barla)। প্রাক্তন সাংসদের শিবির বদলে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেকদিন ধরে শুনছিলাম চলে যাবেন, চলে যাবেন। এত বড় নেতা কেন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এটা পার্টিকে ভাবতে হবে। যে লোকটা এসেছিল তাঁর ট্রেড ইউনিয়ন আছে। বিজেপি লাভও পেয়েছে। তাঁকে আমরা সম্মান দিয়েছি। মন্ত্রী করেছি। যেকোনও কারণে চলে যান না কেন, তাতে রাজনৈতিক ক্ষতি হবে। কারণ, তাঁর পিছনে লোক আছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটা চিন্তার বিষয়। পর্যালোচনা নিশ্চয়ই হবে।” বলে রাখা ভালো, বৃহস্পতিবার শিবির বদলের পরই কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বার্লা। দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে হাসপাতাল তৈরির মতো জনহিতকর কাজেও বাধা দিয়েছেন। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের কর্মীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সেই হতাশায় বিজেপি ছেড়েছেন বলেই জানান বার্লা। এই দ্বন্দ্বের মাঝে দিলীপ ঘোষ অবশ্য কারও নাম করেননি। কিন্তু সুকৌশলে কি শুভেন্দুর দিকেই আঙুল তুললেন? স্বাভাবিকভাবেই ওয়াকিবহাল মহলে সে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে।
সম্প্রতি দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দিলীপের। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে আর দলের কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদযাপনে শুক্রবার কলকাতায় তেরঙা যাত্রার ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেখানেও নাকি ডাক পাননি দলের ডাকাবুকো সংগঠক। দলের কেউ না গেলেও দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনই সেখানে যান দিলীপ ঘোষ। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ খোশগল্পও করতে দেখা যায় তাঁকে। পালটা খোঁচার জবাবে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে সেবার একহাতও নিয়েছিলেন তিনি। আবার জন বার্লার দলবদলের আবহে শুভেন্দু-দিলীপের মতানৈক্য স্পষ্ট। কারণ, দিলীপ (Dilip Ghosh) যখন আশঙ্কার প্রহর গুনছেন তখন বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন শুভেন্দু। বরং বার্লাকে আইনি নোটিস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সবমিলিয়ে বার্লার (John Barla) শিবির বদলে যেন বঙ্গ বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলে আরও এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হল।