• বিকাশ ভবনে আটকে থাকাদের মুক্ত করতে চেয়েছিল পুলিশ, বাধা পেয়ে ‘ন্যূনতম বলপ্রয়োগ’
    প্রতিদিন | ১৬ মে ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও পুলিশের ধস্তাধস্তিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। বিকাশ ভবনে আটকে থাকা সরকারি কর্মীদের বার করতে গিয়ে বাধা পেয়ে পুলিশ ‘ন্যূনতম বলপ্রয়োগ’ করেছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানাল পুলিশ। পাশাপাশি গতকালের ‘সংঘর্ষে’ ১৯ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় উসকানি দেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এসএসসি ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষককর্মী। মিরর ইমেজ প্রকাশ ও বেশ কিছু দাবিতে বৃহস্পতিবার আন্দোলন অন্য চেহারা নেয়। ২ থেকে আড়াই হাজার লোক জড়ো হয়। বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে বিক্ষোভে বসেন। বিকেলে জানিয়ে দেন বিকাশ ভবন ঘেরাও করবেন আন্দোলনকারী।

    সেখানে আটকে পড়েন প্রচুর সরকারি কর্মচারী। পুলিশ তাঁদের বার করার সময় বাধা দেন শিক্ষকরা। তখনই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে দেখা যায়। এদিন রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “৭ ঘণ্টা ধরে পুলিশ বুঝিয়েছে। বিকাশ ভবনে ৫৫টি দপ্তর, ৫০০-৬০০ কর্মী রয়েছেন। একজন সন্তানসম্ভবা অসুস্থ বোধ করেছিলেন। কারও মা অসুস্থ। সন্ধের পর তাঁরা বেরতে চান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের বেরতে বাধা দেন। তাঁদের বের করতে গেলে বাঁধার মুখে পড়ে নূন্যতম বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। যা করা হয়েছে সমস্তটাই প্রোটেকল মেনে।” পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের যেমন বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার রয়েছে তেমন ভাবেই বিকাশ ভবনে আটকে পড়া চাকরিরতদের দিনের শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। 

    রাজ্য পুলিশের দুঁদে কর্তা সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশের ১৯ জন কর্মী আহত হয়েছেন। যারা এই কাজে প্ররোচনা বা উসকানি দিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা নেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)