লিভ-ইন সঙ্গিনীর হাত ধরেই কি মাদকাসক্ত রিঙ্কু-পুত্র? পুলিশি তদন্তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
প্রতিদিন | ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিঙ্কু-পুত্রকে মাদকাসক্ত হতে কি মদত জুগিয়েছিলেন তাঁর লিভ-ইন বান্ধবী? ওই যুবতীর ‘আর্থিক সাহায্যের’র সুবাদেই কি বিদেশি মাদকের বিপুল টাকা হাতে পেতেন প্রীতম? তরতাজা ওই তরুণের মৃত্যুরহস্যে উঠে এসেছে এরকমই একের পর এক প্রশ্ন।
গত মঙ্গলবার নিউটাউনে অভিজাত সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বঙ্গ বিজেপি নেতার স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতমের দেহ। ওই যুবকের মৃত্যুতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি পুলিশের কাছে। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই মামলায় কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে বহু প্রশ্নও।
ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, মাদকাসক্ত ছিলেন প্রীতম। তাঁর কাউন্সেলিংও চলছিল। আবার প্রীতমদের পারিবারিক বন্ধু ঝুমা ঘোষ জানান, রিঙ্কুকে মেসেজ করে প্রীতমের সহকর্মী তথা লিভ-ইন পার্টনার বা বান্ধবী দফায় দফায় জানান যে, প্রীতম তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। সেই টাকা রিঙ্কু দিয়েও দেন ওই যুবতীকে। এরপর পুলিশের প্রশ্ন, শুধু কি ব্রাউন সুগারের মতো ‘দেশি মাদক’ নিতেন প্রীতম? না কি তিনি কোকেন বা এমডিএমএ-র মতো মারাত্মক বিদেশি মাদকেও আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন?
প্রীতম ভাল চাকরি করতেন। কিন্তু বিদেশি মাদক যেমন সহজে পাওয়া যায় না, তেমনই চোরাপথে তার দামও অনেক। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সেই মাদক গ্রহণ করতে প্রীতমকে উৎসাহ দিতেন তাঁর লিভ-ইন বান্ধবী? আবার উৎসাহ জোগাতে ওই যুবতী নিজেও সেই মাদক নিতেন কি না, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, গত দু’বছর ধরে বান্ধবীর সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকাকালীনই মাদক নিতেন প্রীতম। সেই ক্ষেত্রে ওই যুবতী প্রীতমকে নেশা করতে কোনও বাধা দিতেন, এমন প্রমাণ মেলেনি। বরং মারাত্মক কিছু বিদেশি মাদক কিনতে যুবতী তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে টাকা এবং তার সঙ্গে মদতও জোগাতেন, এমন সম্ভাবনাই রয়েছে বলে পুলিশের অভিমত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা নিয়ে এই সমস্যার পর রিঙ্কু ও তাঁর ছেলেও ওই যুবতীকে ফ্ল্যাটে যেতে বা থাকতে বারণ করেন। দু’জনের সম্পর্কে অবনতি হওয়ার পরও গত মঙ্গলবার রাতে যুবতী ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। প্রীতম অন্য দুই বন্ধু ও বান্ধবীর সঙ্গে মদ্যপান করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা মাদকের নেশা করেছিলেন কি না, সেই ব্যাপারে সন্দেহ পুলিশের। প্রতীমের অগ্ন্যাশয়ে ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সঙ্গে মাদক ও মদ্যপানের কী যোগাযোগ থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার সঙ্গে সেই রাতে ওই যুবতীর কার্যকলাপও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।