• ঘন ঘন লোডশেডিং, ভাঙড় ডিভিশনে ৬টি জেনারেটর বসাতে টেন্ডার ডাকল লালবাজার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ মে ২০২৫
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে ভাঙড়। তবে সেখানে থানার কাজকর্ম চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। যখন তখন হচ্ছে লোডশেডিং। তার ফলে থানার গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হচ্ছে। মাঝপথেই আটকে যাচ্ছে একাধিক কাজ। বিশেষ করে অনলাইনে তথ্য নথিভুক্ত থেকে শুরু করে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভাঙড় ডিভিশনের থানাগুলিতে। তাছাড়া, ঝড়-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে থানাগুলিতে। পুনরায় বিদ্যুৎ ফিরে আসতে কখনও কখনও দু’ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। এই অবস্থায় থানার অন্ধকার কাটাতে আগেই ভাঙড় ডিভিশনে জেনারেটর কেনার কথা জানিয়েছিল লালবাজার। সেই মতোই জেনারেটর কেনার জন্য এবার ডাকা হল টেন্ডার।


    জানা গিয়েছে, ছ'টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর কেনা হবে। এর জন্য ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত টেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে, বর্ষার আগেই জেনারেটর লাগানোর। তবে কোন কোন থানায় জেনারেটরগুলি রাখা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করেনি লালবাজার। তবে মনে করা হচ্ছে বেশি লোডশেডিংয়ের সমস্যা থাকা থানাগুলিতে এগুলি রাখা হতে পারে। বলা হচ্ছে, উচ্চ ক্ষমতার পাশাপাশি এই জেনারেটরগুলির আওয়াজ অনেক কম।

    ভাঙড় ডিভিশনে রয়েছে হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর, চন্দনেশ্বর, বোদরা এবং ভাঙড এই আটটি থানা। এছাড়াও, ডিভিশনের অফিস এবং ট্র্যাফিক গার্ড রয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শীতকালে সেখানে লোডশেডিংয়ের সমস্যা না হলেও বর্ষা বা গরমে এই সমস্যা বেশি হয়। আর ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    কলকাতার বাকি ডিভিশনে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকলেও ভাঙড় ডিভিশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থা। খুঁটির মাধ্যমে ভাঙড় ডিভিশন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে সেখানে ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা বেশি বলে মনে করছে পুলিশ। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাও। এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে বলে মনে করছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)