দুই আন্তর্জাতিক মডেলে ইঙ্গিত, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়! কবে, কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা, দেখুন...
আজকাল | ১৭ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সত্যিই কী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে? আপাতত একাধিক ওয়েদার মডেলে ইঙ্গিত করা হয়েছে, এই মে মাসের শেষের দিকেই ভারতের স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়। যদিও, আইএমডি এই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা এখনও দিতে পারেনি। কিন্তু ওয়েরদার মডেলের ভবিষ্যৎবানী কিন্তু ভয় ধরানোর মতো। কারণ, স্থলভাগে আছড়ে পড়লে এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি অনেকটাই হতে চলেছে।
সাধারণত একাধিক ওয়েদার মডেল গণনার মাধ্যমে জানান দেয় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। এই ওয়েদার মডেলগুলির মধ্যে একটি হল জিএসএফ। এই জিএসএফ মডেলের মতে ২৬-২৭ মে নাগাদ সাগরে তৈরি হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এই মডেল জানান দিচ্ছে, তৈরি হওয়ার পর এটি ক্রমে আরও উত্তর-পূর্বে আগুয়ান হবে। হয়ে, সেটি ২৯ মে নাগাদ চট্টগ্রামের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এই মডেল সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
আবার ইউরোপিয়ান ওয়েদার মডেল অনুসারে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তাতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ রয়েছে। এই মডেল অনুসারেও ২৬-২৭ তারিখ নাগাদ সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তারপর সেটি উত্তর দিকে সোজা বাংলার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে এটি। তারপর সেটি ২৯ তারিখ নাগাদ হলদিয়া ও গঙ্গাসাগরের মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ফলে বলা চলে, দু'টি মডেলেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বার কোন স্থলভাগে সেটি আছড়ে পড়বে, তা নির্দিষ্ট নয়।
এ নিয়ে অবশ্য আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বা কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন কিছু জানায়নি। পাশাপাশি, আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এই নিয়ে কোনওরকম গুজব না ছড়াতে। কারণ, ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নিশ্চয়তা এখন দেওয়া হয়নি। তাই, সরাসরি ভারতীয় মৌসম ভবনের ভবিষ্যৎবানী ছাড়া এই ঝড় আসছেন, একথা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে একাধিক মডেলের ভবিষ্যৎবানীর ক্ষেত্রে বলতেই হচ্ছে, মে-এর শেষে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা প্রবল।