• ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য তুলে ধরতে দিলীপবিহীন ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ বঙ্গ বিজেপির
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ মে ২০২৫
  • ২২ এপ্রিল পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যাঘাতে নামে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের সেই সামরিক অভিযানে প্রথমে জঙ্গি ঘাঁটি ও পরে পাক সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায় ভারতের সেনাবাহিনী। এই অভিযানে পাকিস্তানকে কার্যত বিপর্যস্ত করে ছাড়ে ভারতের বায়ুসেনা বিভাগ। আর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব এবং পরাক্রমকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে রাজ্যে রাজ্যে তেরঙ্গা মিছিল শুরু করেছে বিজেপি। শুক্রবার কলকাতাতেও এই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ শুরু করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’য় ডাক পড়েনি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। দিলীপ বিহীন এই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দিলীপকে ‘একঘরে’ করার জন্যই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’য় ডাকা হয়নি?

    প্রসঙ্গত শুক্রবার কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের এই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। ১৭ থেকে ১৯ মে তিনদিন প্রতিটি জেলায় ও ২০ থেকে ২৩ মে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এই তেরঙ্গা যাত্রা করবে বিজেপি। কলকাতায় এই কর্মসূচিতে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শুক্রবারের মিছিলে থাকার জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিলীপ জানান, “তেরঙ্গা যাত্রার বিষয়ে আমায় কিছু বলেনি। আমি দলের কর্মসূচিতে মেদিনীপুরে থাকব।” দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দর্শনের পর থেকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির দূরত্ব রাখছে বলেই খবর। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কোনও কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে না। দলবদলু বিজেপি নেতাদের চাপেই কি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে কর্মসূচি থেকে দূরে রাখছে রাজ্য বিজেপি। এই প্রশ্নও উঠছে দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

    উল্লেখ্য, বছর গড়ালেই বিধানসভা ভোট। সেজন্য ‘অপারেশন সিঁদুর’কে দলের প্রচারের কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এই ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ কীভাবে হবে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই স্পষ্ট হয়েছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাফল্য দাবি করে রাজনৈতিকভাবেই এই কর্মসূচিকে ব্যবহার করতে চাইছে গেরুয়া বাহিনী। এই তেরঙ্গা যাত্রায় বিজেপির কোনও পতাকা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন সেনা, পরিবার, ছাত্রছাত্রী, সাধুসন্তদের এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করানো হবে। সেই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্বকে প্রাক্তন সেনা ও কর্মরত সেনাদের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)