• খুন হয়েছিলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে, মালদহের সেই দুলাল সরকারের স্ত্রীকেই বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল
    প্রতিদিন | ১৭ মে ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক রদবদল করেছে শাসক শিবির। শুক্রবার বিকেলে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা চেয়ারপার্সন, জেলা সভাপতি-সহ অন্তত ১৮টি পদে রদবদল করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মালদহের জেলা চেয়ারপার্সন পদে বদল। এই পদ এতদিনে সামলেছেন রতুয়ার বর্ষীয়ান বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এবার সেই পদ পেলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত দলের দীর্ঘদিনের সৈনিক দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি। এই মুহূর্তে তিনি ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুলাল সরকারের সম্পর্ক ছিল অবিচ্ছেদ্য। তাই সতীর্থ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রীকেই অসমাপ্ত কাজের ভার দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে।

    চলতি বছরের গোড়ায় দিনেদুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান মালদহের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুলাল সরকার। ইংলিশবাজার পুরসভার ২৫ বছরের কাউন্সিলর তথা জেলার সহ-সভাপতি দুলালের মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পর মালদহে গিয়ে মঞ্চে দুলাল সরকারের ছবি রেখে তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। সেইদিনই ঘোষণা করেছিলেন, দুলালের স্ত্রী চৈতালিকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এরপর শুক্রবার সাংগঠনিক রদবদলে দেখা গেল, মালদহের চেয়ারপার্সন পদে এসেছেন পেশায় আইনজীবী চৈতালি সরকার।

    দুলাল সরকারের মতো তাঁর স্ত্রী চৈতালিরও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। তিনি একসময়ে জেলায় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী ছিলেন। এলাকার মহিলাদের একত্রিত করে একাধিক আন্দোলন করেছিলেন। পরে ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলর হন চৈতালিদেবী। এবার তিনি আরও বড় দায়িত্ব পেলেন। এতদিন জেলায় দলের চেয়ারপার্সন ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তবে অসুস্থতার কারণে ধীরে ধীরে কাজ থেকে অব্যাহতি চান। সেই কারণে তাঁকে বাদ দিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল চৈতালি সরকারকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)