লাল গোলাকৃতি চাকতি। ভেতরে সাদা রঙে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ‘ভারতীয় রেল’। ভেতরে একটি প্রতীকী চিত্র। সেই ছবির উপরে থাকছে স্বাক্ষর প্রতিকৃতি। এরকম একটি ব্যাজ দেখলেই বুঝবেন তিনি রেলের টিকিট পরীক্ষক। শিয়ালদহ ডিভিশনের নর্থ, মেইন, সাউথ প্রতিটি শাখাতেই টিকিট পরীক্ষকদের জন্য এই ব্যাজ পরা আবশ্যিক করা হয়েছে।
মূলত, ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের দৌরাত্ম্য রুখতেই এই ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেল। নতুনভাবে নকশা করা এই ব্যাজ এখন থেকে সকল টিকিট পরীক্ষকদের জন্য ইউনিফর্মের একটি আবশ্যিক অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকী, এই ব্যাজ নকল করাও প্রায় অসম্ভব বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। শিয়ালদহ ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা সম্প্রতি টিকিট পরীক্ষকদের জন্য বিশেষ পরিচয় ব্যাজ চালু করেছেন।
যাত্রীদের সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে বদ্ধ পরিকর রেল। তবে, শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের দৌরাত্ম্যে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। নির্দিষ্ট কোনও মানদণ্ড না থাকায় তৎক্ষণাৎ ওই টিকিট পরীক্ষককে ভুয়ো বলে চিহ্নিত করতে অসুবিধায় পড়তে হয় রেলের আধিকারিক বা অন্যান্য টিকিট পরীক্ষকদেরও।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে এক ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে পাকড়াও করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক বা প্রতারকদের দলে আরও অনেকে রয়েছেন। যাঁরা শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। বেশ কয়েক মাস গায়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে দুই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে ধরা হয়। রেল যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা রুখতেই এ বার বড় সিদ্ধান্ত রেলের।
ফলত, সাদা জামা, কালো কোর্ট পরা কেউ এসে টিকিট দেখানোর কথা জানতে চাইলে বা জরিমানা দেওয়ার কথা জানালেই বিভ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই যাত্রীদের। নির্দিষ্ট ব্যাচ দেখে তবেই যাত্রীরা টিকিট দেখান, এমনটাই জানাচ্ছে রেল। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও জানানো হয়েছে।