কাটোয়ায় চিকিৎসায় গাফিলতিতে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু, ডাক্তারের শাস্তির দাবি
বর্তমান | ১৭ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: চিকিৎসায় গাফিলতিতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে সরব প্রসূতির পরিজনরা। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রসূতির দাদু। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসপাতালজুড়ে।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ওই প্রসূতি ওই চিকিৎসককে প্রাইভেট চেম্বারে দেখিয়েছিলেন। তাই ঘটনাটি আমরা সিএমওএইচকে জানিয়েছি। তিনি তদন্ত করে দেখবেন।
হাসপাতালের সুপারকে কাটোয়ার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মহন্মদ ফজলেবারি লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর নাতনি রশিদা খাতুনের গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকের গাফিলতিতে। তাঁর অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল রশিদা খাতুনের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সে সময়ে কাছারি রোডের হাসপাতালের সামনেই এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে দেখাতে যান। অভিযোগ, তিনি ওই প্রসূতিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেখানেই প্রসব করানোর কথা বলেন সরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসক। কিন্তু রশিদা খাতুন নার্সিংহোমে প্রসব করানোর ব্যাপারে নিজের অপারগতা প্রকাশ করলে ওই চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এরপর প্রসূতিকে কিছু ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। ১ মে আবার ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যান ওই প্রসূতি। সেদিনও নাকি চিকিৎসক দুর্ব্যবহার করেন। এরপর ২ মে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ওই প্রসূতি নাকি মৃত সন্তান প্রসব করেন।
রশিদা খাতুন বলেন, আমি নার্সিংহোম যেতে পারিনি বলে ওই চিকিৎসকের গাফিলতিতে আমার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গেল। মহম্মদ ফজলেবারি বলেন, আমার নাতনিরও জীবন সংশয় হয়েছিল। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে টানা ছ’ দিন ভর্তি থাকতে হয়েছিল। আমরা চাই ওই চিকিৎসকের কড়া শাস্তি হোক। একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়ে কীভাবে তিনি নার্সিংহোমে প্রসব করাতে বলেন। এদিকে শনিবার বিষয়টি নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়েও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে দেখা মেলেনি।