নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর : অবশেষে পুরসভার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এল রেল। মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় আম্রুত প্রকল্পে রেল লাইনের নিচ দিয়ে পানীয় জলের পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রেলের তরফে সম্মতি মিলল। এতেই আশার আলো দেখছেন পুরসভার আধিকারিকরা। শুক্রবার রাঙামাটি সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ পুরসভার জনপ্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানে রেলের তরফে আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুরসভা ও রেলের তরফে রেল লাইনের নিচ দিয়ে পাইপ নিয়ে যাওয়ার জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে ফের রেল লাইনের নিচ দিয়ে আম্রুত প্রকল্পের জলের পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার আবেদন করতে হবে। পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পুরসভা এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে। তবে রেল লাইনের নিচ দিয়ে পাইপ নিয়ে যেতে রেলের তরফে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। এরফলে এক বছরের বেশি সময় ধরে পাইপ নিয়ে যাওয়ার কাজ থমকে রয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরসভা এলাকার ২৪, ২৫ , ৪ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। রেলের কাছে আগেও পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত হচ্ছে। জলের সমস্যার সমাধান করাই আমদের প্রধান লক্ষ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রেল লাইনের নিচ দিয়ে পাইপ লাইন নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিল রেল। তাই এদিন এলাকা পরিদর্শন করা হল। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে ৬০ হাজারের বেশি বাড়িতে জল সরবরাহ করা হবে। বেশকিছু ধাপে বাড়ি বাড়িতে পাইপ লাইনের কাজ হচ্ছে। ৩০ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। শহরে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার রাস্তায় পাইপ লাইনের কাজ করছে পুরসভা। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ১৮৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও মাঝে নানা জটিলতা ও করোনা পরিস্থিতির জেরে কাজ থমকে যায়।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, শহরের লাগোয়া কংসাবতী নদী থেকে জল সরবরাহ করা হবে। গান্ধী ঘাটে জল পরিস্রুত করার প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। এছাড়া শহরের বুকে তৈরি হয়েছে ৬টি বড় রিজার্ভার। সেই রিজার্ভারে জল স্টোর করা হবে। এরপর সেই জল পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়িতে। মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা সুখদেব পাল বলেন, অনেক এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। রেলের উচিত পুরসভাকে সহযোগিতা করা। বহু দিন ধরে কাজ চলছে। দ্রুত শেষ হলে সাধারণ মানুষের উপকৃত হবেন।