নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: কুখুডিহিতে পরিত্যক্ত ঘরে বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিউড়ি থানার পুলিসের জালে বাড়ির মালিক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ মুর্তাজা। শুক্রবার সকালেই ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিসি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। চলছে ঘটনার তদন্ত। এদিকে জেলার সাঁইথিয়া ও সিউড়ি থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুলিস আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছে। মজুত বোমার হদিস পেতে জেলাজুড়ে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, সিউড়ির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি, মজুত বোমা উদ্ধারে তল্লাশিতে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। সাঁইথিয়া থানা এলাকার দক্ষিণ সিজা ও আকুড্ডিতে পৃথক দু’টি বাড়িতে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সিউড়িতে তার পুনরাবৃত্তি ঘটে। গত বুধবার রাতে সিউড়ির কুখুডিহি এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা ছিল বাড়িতে মজুত বোমা বিস্ফোরণের জেরেই টিনের ছাউনির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই বাড়ির মালিক আত্মগোপন করায় পুলিসের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। শুরু হয় বাড়ির মালিকের খোঁজ। অবশেষে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য পুলিস কর্মীদের নিয়ে অভিযানে নামেন। কুখুডিহি এলাকাতেই আত্মগোপন করে থাকা ওই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সাঁইথিয়ার পর সিউড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিস মহল কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। সেক্ষেত্রে এই ঘটনায় বোমা মজুতের পিছনে সঠিক কী কারণ ছিল তা জানতে তৎপর পুলিস। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িয়ে রয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। ওই বোমা অথবা বোমাগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার আর কোথাও বোমা মজুত রয়েছে কিনা জানতেও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।