নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বাগানে আম চুরির অভিযোগে সুদীপ্ত পণ্ডিতকে (১৭) পিটিয়ে মারার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না নৈহাটি শিবদাসপুরের বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল থেকেই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজিত জনতা বাগানের মালিক ফারহাদ মণ্ডলের বাড়ি ভাঙচুর করে আমের গুদামে আগুন ধরিয়ে দেন। তারপর শিবদাসপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান। অংশ নেন সিপিএম এবং বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তবে বিক্ষোভ চলাকালীন নিজেরাই গোলমালে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। যার জেরে গাড়ি চলাচল থমকে যায়। বারাকপুরের পুলিস কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সরকারি আইনজীবী যদুনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, ধৃত ফারহাদকে বারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক মণিকা চট্টোপাধ্যায় ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল সুদীপ্ত ও তার বন্ধুরা। বাগানের মালিক ভাবেন, কেউ আম পাড়ছে। সন্দেহের বশে সুদীপ্তকে মারধর করে ফারহাদ। পরে তার মৃত্যু হয়। আম পাড়তে গিয়ে কিশোরের এই মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউই। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে শিবদাসপুর থানার সামনেও বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা প্রশমনে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে পুলিসি টহল। শুক্রবার নিহত কিশোরের বাড়িতে যান নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। তিনি ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা সবসময়ের জন্য এই পরিবারের পাশে আছি। প্রশাসন দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সিপিএম, বিজেপি নিজেদের মধ্যে গোলমাল করছে। আমরা পরিবারের পাশে আছি। শনিবার কিশোরের বাড়িতে যাবেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। পার্থবাবু বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি। - নিজস্ব চিত্র