নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর, বারাসত ও চুঁচুড়া: কলকাতার আশপাশের জেলাগুলিতে নেতৃত্ব বদলের পথে হাঁটল তৃণমূল। তবে সেই তালিকায় নেই দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার নাম। এই জেলায় তৃণমূলের সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের নাম ঘোষিত হয়নি। কে হবেন সভাপতি ও চেয়ারপার্সন? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই।
বারাসত সাংগঠনিক জেলায় দীর্ঘদিন জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলে আসছেন চারবারের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। জেলা সভাপতি কে হবেন, তার জন্য রীতিমতো সমীক্ষা করে তৃণমূল। কাকলিদেবী বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে আমার কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। আমি যেভাবে কাজ করছি, সেভাবেই করে যাব।’
এদিকে, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস। চেয়ারপার্সন করা হয়েছে মমতা ঠাকুরকে। বসিরহাটে বরাহানুল মুকাদ্দিম ওরফে লিটনকে জেলা সভাপতি ও সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। ১৪ মাস পর দমদম-বারাকপুর সাংগঠিক জেলায় সভাপতি পেল তৃণমূল। ২০২৪ সালের ৪ মার্চ তত্কালীন জেলা সভাপতি তাপস রায় পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন থেকে পদটি শূন্য ছিল। শুক্রবার এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। দায়িত্ব পেয়েই পার্থ বলেন, ‘সোমবার টিটাগড় জেলা অফিসে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।’ হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠিনক জেলায় চেয়ারপার্সন ও সভাপতি পদে কোনও রদবদল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব করেনি। জেলার চেয়ারপার্সন হিসেবে ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকেই বহাল রাখা হয়েছে। একইভাবে সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব পেয়েছেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন। হাওড়া শহরাঞ্চলে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সন বদল করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন হয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সভাপতি করা হয়েছে বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে।