সাঁকরাইলের বহু জায়গা ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন, পানীয় জলের হাহাকার
বর্তমান | ১৭ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সিইএসসি’র উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনে গোলযোগ। যার জেরে শুক্রবার ভোর রাত থেকে ১৬ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাতে হল হাওড়ার নাজিরগঞ্জ, সাঁকরাইল সহ একাধিক এলাকার মানুষকে। গরমে অসহনীয় ভোগান্তির পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট চরমে ওঠে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন সারানোর কাজ করেন বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা।
শুক্রবার ভোর রাতে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ সহ সাঁকরাইল ব্লকের বানুপুর এক ও দুই, দক্ষিণ সাঁকরাইলের মতো বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় লোডশেডিং শুরু হয়। সকাল থেকে একটানা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জলের পাম্প চালাতে পারেননি বাসিন্দারা। ফলে একসময় পানীয় জলের হাহাকার চরমে ওঠে। গ্রামের মোড়ে থাকা নলকূপগুলিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ব্লকজুড়ে থাকা ছোট কারখানাগুলি বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ থাকে। সাময়িকভাবে জলের পাম্প চালানোর জন্য পঞ্চায়েত জেনারেটর পাঠাতে অনুরোধ জানায় সিইএসসিকে। রাজগঞ্জের বাসিন্দা সমর পাল, দীপা সরকার বলেন, ‘ভেবেছিলাম সকালের মধ্যে কারেন্ট চলে আসবে। কিন্তু দিনভর লোডশেডিং থাকায় জল মেলেনি। চড়া দামে কুড়ি লিটারের জলের ড্রাম কিনতে হয়েছে।’
অন্যদিকে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে যায় সাঁকরাইল ব্লকের একাংশ। অন্ধকারের সুযোগে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা যাতে না হয়, সে জন্য বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকায় টহলদারি বাড়িয়ে দেয় হাওড়া সিটি পুলিস। দিনভর বিদ্যুৎবাহী লাইনে গোলযোগ খোঁজার চেষ্টা চালান সিইএসসি’র ইঞ্জিনিয়াররা। রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন তাঁরা। সিইএসসি’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৩৩ হাজার ভোল্টের দু’টি বিদ্যুৎবাহী লাইনে গোলযোগ হয়েছে। যে কারণে বিকল্প বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখা যায়নি। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাত আটটা পর্যন্ত অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে বাসিন্দাদের।