এই সময়: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, দিল্লিকে ধাওয়া করে রাজ্যের দূষণ মানচিত্রে ২ নম্বর স্থানে উঠে এসেছিল কলকাতা। শহরের বাতাসের মান ‘খুব খারাপ’ হয়ে গিয়েছিল শীতের সময়ে। শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম তিনে ছিল করাচি, দিল্লি এবং তিলোত্তমা।
কারণটা আর কিছুই নয়, বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ দূষণ কণা। সেই দূষণ কণা বা পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বাতাসকে বিষিয়ে চলেছে সর্বক্ষণ। পিএম-১০ এবং পিএম-২.৫ এখন সারা বিশ্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ। তবে কলকাতার জন্য কিছুটা সুখবর এলো শুক্রবার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন এক্স হ্যান্ডলে জানান, পিএম-১০ দূষণ কণা কমানোর ক্ষেত্রে তিনটি শহরকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে পিএম-২.৫ হলো সব থেকে ক্ষতিকর।
মূলত গাড়ি এবং অন্যান্য ধোঁয়া থেকে ছড়ায় এই দূষণ কণা। এর জেরেই শহরে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার। পরিবেশ কর্মীদের দাবি, পিএম-২.৫ নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকা নিক সরকার।
এ দিন এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘কলকাতা আবার পথ দেখাল। পরিবেশ সুরক্ষার নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের তিনটি শহরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার মধ্যে কলকাতাও রয়েছে। পরিচ্ছন্ন এবং সবুজে ভরা কলকাতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাশে থাকার জন্য শহরবাসীদের ধন্যবাদ।’
সাধারণত নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ থেকেই ছড়ায় পিএম-১০। এই কণাগুলি মূলত কঠিন এবং তরলের সংমিশ্রন। দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে নগরায়ণ। অন্যদিকে উধাও হচ্ছে গাছ। কংক্রিটের বহুতল যত বাড়ছে ততই বাড়ছে দূষণকণার দাপাদাপি। তার ফলেই বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে দূষণের।
দিল্লি-সহ দেশের একাধিক শহরের পরিস্থিতি প্রায় একইরকম। তার ঠিক পিছনেই রয়েছে কলকাতাও। তবে কারা ফল প্রকাশ করেছে, তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘শহরে দূষণ এই সময়ে কম থাকে। শীতকাল এলে বোঝা যাবে আসলে কতটা কমেছে দূষণ।’