মালদহে সংগঠনে গুরুত্ব বাড়ল প্রয়াত তৃণমূল নেতা বাবলার স্ত্রী চৈতালির
বর্তমান | ১৭ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: মালদহ জেলা সংগঠনে গুরুত্ব বাড়ল প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারের। জেলা সভাপতি পদে আব্দুর রহিম বক্সির উপরই আস্থা রেখেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেই পুনর্বহাল জেলা সভাপতিরা। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে শুধুমাত্র দলের চেয়ারম্যান পদেই পরিবর্তন হয়েছে।
মালদহ জেলা তৃণমূলের নতুন চেয়ারপার্সন হলেন চৈতালি সরকার। বর্তমানে তিনি ইংলিশবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। এর আগে জেলা চেয়ারম্যান পদে ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরিবর্তে দলের নতুন চেয়ারপার্সন হিসেবে চৈতালি সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সমরবাবুকে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়েছে। চৈতালি সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। সবরকমভাবে আমি দলের জন্য কাজ করে যাব। মালতিপুরের দলীয় বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি সন্ধ্যায় বলেন, আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং প্রণাম জানাই সুব্রত বক্সিকে। তাঁরা আমার উপর আস্থা রেখে পুনরায় আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।
এদিকে সভাপতি পদে রদবদল না হলেও, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন হল। জেলা তৃণমূলের নতুন চেয়ারম্যান হলেন, চোপড়ার দীর্ঘদিনের বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেলেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। জেলায় এই সাংগঠনিক রদবদলকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ২০১৯ থেকে জেলা সভাপতি হিসেবে সংগঠন সামলাচ্ছি। গত বিধানসভায় ন’টি আসনের মধ্যে আটটি আমাদের দখলে ছিল। এবার ২০২৬ এর টার্গেট ন’টি বিধানসভাই দলকে উপহার দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই সকলকে নিয়ে কাজ করব। এদিকে, এই রদবদলে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শচীন সিংহ রায়কে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হল হামিদুল রহমানকে। অনেকেই মনে করছেন দীর্ঘ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে দলের হয়ে ভালো ফল করার জন্যই দল তাঁকে এই সম্মান দিল।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলে কোনও রদবদল হয়নি। বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ সুভাষ ভাওয়ালকেই জেলা সভাপতি পদে পুনর্বহাল করেছে দল। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় দায়িত্বে বহাল থাকলেন কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল। সুভাষ ভাওয়াল দায়িত্ব পেতেই গঙ্গারামপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সুভাষবাবু বলেন, বেশ কয়েকমাস ধরে আমাদের কিছু নেতা অপপ্রচার করছিলেন। শেষ পর্যন্ত দল আমাকে পুনরায় দায়িত্ব দিয়েছে। নিজস্ব চিত্র