তমলুক ও ঘাটালে দলের সভাপতি পদে রদবদল তৃণমূল কংগ্রেসের
বর্তমান | ১৭ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে তমলুক ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি পদে রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তমলুকে জেলা চেয়ারপার্সন পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হয়েছেন সুজিত রায়। চেয়ারপার্সন হয়েছেন দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি পদে ফের অজিত মাইতির উপর আস্থা রাখল দল। কাঁথি, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় সাংগঠনিক রদবদল হয়নি। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সবকটি জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে অনেক জায়গায় রদবদল ঘটানো হয়েছে।
সুজিতবাবু পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। জেলা সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা দলের নেতা-কর্মীদের কাছে মস্তবড় চমক। তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছেন তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। এর আগে দলের জেলা সভাপতি ছিলেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চেয়ারপার্সন ছিলেন চিত্ত মাইতি। প্রবীণ দুই নেতাকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। তবে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় দলের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদে কোনও রদবদল হয়নি। সেখানে আগের মতোই সভাপতি আছেন পীযূষকান্তি পণ্ডা। জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে ফের তরুণ মাইতিকে বেছে নিয়েছে নেতৃত্ব।
শুক্রবার নাম প্রকাশের পর থেকেই তমলুক সাংগঠনিক জেলায় রদবদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা সভাপতি হিসেবে একাধিক বিধায়কের নাম ভেসেছিল। কিন্তু, সেই আলোচনায় কখনও পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়ের নাম আসেনি। বরং সেখানকার পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন নন্দ মিশ্রের নাম নিয়ে চর্চা হতো। শুক্রবার জেলা সভাপতি হিসেবে সুজিতবাবুর নাম প্রকাশ হতেই কোলাঘাট থেকে হলদিয়া সর্বত্র দলের মধ্যে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে।
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের অজিতবাবুর উপরে আস্থা রেখেছে তৃণমূল। তাঁকে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয়েছে। ওই সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন হয়েছেন রাধাকান্ত মাইতি। এরআগেও তিনি ওই পদে ছিলেন। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে বহাল রইলেন সুজয় হাজরা। পাশাপাশি চেয়ারপার্সন পদেও বহাল রইলেন দীনেন রায়।
এর আগে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে ছিলেন আশিস হুদাইত। কিন্তু, গোষ্ঠীকোন্দল সহ নানা ইস্যুতে তাঁর নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে দলকে শক্তিশালী করতেই অভিজ্ঞ অজিতবাবুকে কাণ্ডারী করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম জেলায় সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদে কোনও রদবদল ঘটায়নি তৃণমূল। জেলা সভাপতি পদে দুলাল মুর্মু এবং জেলা চেয়ারপার্সন হিসেবে বীরবাহা সোরেন বহাল রইলেন।